• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Friday, January 15, 2021

রিশপ ট্রিপ - Trip to Rishop

 বাইকে করে রিশপ ট্রিপ। নতুন নয়। এর আগে অনেকে করেছে। কিন্তু হিমালয়ে দু'চাকা নিয়ে যাওয়া আমার প্রথম। এর আগে টুকটাক বীরভূম, পুরুলিয়া হয়েছে। সে যাই হোক। ডিসেম্বরের শেষে হাড়কাঁপুনি ঠান্ডায় গিয়ে উপস্থিত হলাম রিশপ। গেছিলাম বছরের শেষদিন। এনজেপি থেকে শিলিগুড়ি আর তারপর শিলিগুড়ি থেকে fz250 বুক করে সোজা কালিম্পং।

রাস্তায় দেখেছিলাম পাইন ভিউ নার্সারি। বলব কি মশাই! রাস্তার হাল যা, তাতে বাইক নিয়ে যে শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি এই ঢের। নার্সারি যাওয়ার রাস্তা বেশ ঘাঁটা। তার উপর গুগলও সঙ্গ দিচ্ছে না। মোবাইলের টাওয়ারই নেই তো নেট কানেকশন। অগত্যা স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে পাইন ভিউ নার্সারি পৌঁছলাম। ক্যাকটাস আর কাঞ্চনজঙ্ঘার মেলবন্ধনে জায়গাটা মোটের উপর অপূর্ব।

সেখান থেকে রওনা দিলাম রিশপের উদ্দেশ্যে। মাঝে পড়েছিল মর্গান হাউস। তবে বুকিং না থাকায় ঢুকতে পারিনি। বাইরে থেকে দেখেই শান্ত থাকতে হল আমাদের। তারপর সেখান থেকে গেলাম ডেলো হয়ে পৌঁছলাম রিশপ। মাঝ রাস্তায় ডেলোর কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মোমো খেলাম। সঙ্গে দু'কাপ ভর্তি কপি। ধড়ে যেন প্রাণ এল। অক্সিজেন নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। কারণ এরপর আর হল্ট দেব না।

সোজা রিশপ। কিন্তু যাব বললেই কি যাওয়া যায়? রাস্তার জন্য রিশপ পৌঁছতে বেজে গেল পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা। যদিও তখন সন্ধে নামার কথা নয়। কিন্তু পাহাড়ে ঝুপ করে কখন অন্ধকার নেমে যায় বোঝাই যায় না। এর ফলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমাদের। কারণ রিশপ যাওয়ার রাস্তা বেশ খাড়াই। তার উপর দুপাশে পাইনের জঙ্গল। অন্ধকার তখন আমাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে গাড়ির হেডলাইটে তা দূর হচ্ছে নামমাত্র। বাইকে আমরা মাত্র দুজন। সঙ্গে কেউ নেই। গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছি। প্রাণপাখিটা তখন গলার কাছে ঠেলা মারছে। যদি জঙ্গল থেকে কোনও বন্যজন্তু বেরিয়ে আসে বেঘোরে পৈত্রিক প্রাণটা খোয়াতে হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। হোমস্টে পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম।

তবে এখানে বলে রাখি পাইনের ওই জঙ্গল কিন্তু সকালে অসম্ভব সুন্দর। পরের দিন লাভা, কোলাখাম আর ছাংগে ফলস যাওয়ার পথে দেখেছিলাম। ওই দৃশ্য ভোলবার নয়। পরের দিন চারটে থেকে উঠে প্রতীক্ষা করছিলাম সূর্যোদয়ের। বরফ ঠান্ডা জলে প্রাতঃকৃত্য সেরে হোমস্টের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাদের হোমস্টের পাশ দিয়েই টিফিনদারার রাস্তা। কিন্তু স্লিপিং বুদ্ধের উপর সূর্যের প্রথম কিরণ দেখতে গেলে অন্ধকার থাকতে রওনা দিতে হত। দুজন মিলে অন্ধকারে অজানা রাস্তায় পাড়ি দেওয়ার সাহস হয়নি। অগত্যা ব্যালকনিই ভরসা। জানতাম এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। দেখা গেলও।

সূর্যের আলো বরফস্নাত কাঞ্চনজঙ্ঘায় পড়ার দৃশ্য যেন সব মন খারাপ, সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে হাজার কষ্ট করা যায়। তবে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পুরো দৃশ্য আমরা দেখিনি। সূর্য একটু উঠতেই টিফিনদারার রাস্তায় রওনা দিয়েছিলাম। সম্পূর্ণটা য়াইনি। কারণ তার আগেই স্লিপিং বুদ্ধ আমাদের দর্শন দিয়েছে। মনে হচ্ছিল যেন উজ্জ্বল লাল-সোনালি চাদর চাপা দিয়ে নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাচ্ছেন বুদ্ধদেব। এই দৃশ্য দেখার পর ইচ্ছা করেই আর টিফিনদারা যাইনি। কারণ আমরা বাইকে এসেছি। আলো থাকতে হোমস্টেতে ফিরতে হবে। আগের দিন খুব ভোগান্তি হয়েছে। তাই সেখান থেকে নেমে লাভা হয়ে গেলাম কোলাখাম। সেখান থেকে ছাংগে ফলস।


লাভা থেকে কোলাখাম যাওয়ার রাস্তা নেওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে দিয়ে। রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। অন্নপ্রাশন নয়, ঝাঁকুনির চোটে গত জন্মের অন্ন উঠে আসতে পারে। আর যে কোনও মুহূর্তে খাদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সেসব ফাঁড়া কাটিয়ে পৌঁছলাম কোলাখাম। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম। এখান থেকে ঘুমন্ত বুদ্ধ আরও স্পষ্ট। কোলাখাম হয়ে পৌঁছলাম ছাংগে ফলস। জলপ্রপাতের তেজ কম। কিন্তু মনোরম। জায়গাটাকে ঢেলে সাজিয়েছে প্রকৃতি। অল্প জলের উপর দিয়ে দৃশ্যমান পাথর। তার উপর পা দিয়ে টুকটাক এপাশওপাশ যেতে পারবেন। এখানেই কেটে যাবে অনেকটা সময়। এরপর আমরা আর কোথাও যাইনি। ব্যাক টু হোমস্টে।


তারপরের দিন রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। লাভা-গরুবাথান রুটে শিলিগুড়ি ফেরা। এই রাস্তা প্রথমদিনের চেয়ে অনেকটাই ভাল। কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখি, রোমাঞ্চ ভালবাসলে অবশ্যই রিশপ বাইকট্রিপ করতে পারেন। এখানকার সৌন্দর্য আর রাস্তা আপনাকে প্রতি পদক্ষেপে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ দেবে। কিন্তু বাইক যদি আপনি ভাল চালান তবেই সাহস দেখান। নাহলে দুর্ঘটনা বসে আছে আপনাকে খপ করে ধরবে বলে।


বি.দ্র. বাইক কিরায়া (sujit da-9735912211)থেকে আমরা বাইক ভাড়া করেছিলাম। সিকিউরিটি বাবদ 2000 টাকা জমা রাখতে হয় (with any original ID PROOF)। এছাড়া বাইক ভাড়া নিয়েছিল (yamaha fz25 1300/day excluding fuel) টাকা প্রতিদিন। রিশপ যাওয়ার পথে রাস্তা বহু জায়গায় বেশ খাড়াই। কোথাও কোথাও রাস্তা ভাঙা। ফলে বাইক খুব ভাল চালাতে জানলে তবেই যান। আমরা ছিলাম গ্রিন পিক রিসর্টে। খাওয়া মোটের উপর ভালই। উত্তর ও পূর্বের ঘর (একতলা 105 ও দোতলা ROOM NO.206) থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। সম্ভব হলে এই 2টি ঘরের একটি বেছে নিন। ভাড়া সিজন হিসেবে ভ্যারি করে। হোটেলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বুক করতে পারেন(manager pallab-8170077624) আমরা হোটেলটা ট্রাভেল এজেন্ট মারফৎ বুক করেছিলাম। দু'টদিনের ৪২০০ টাকা পড়েছিল।


Sourav Ghosh

Saturday, January 9, 2021

সান্দাকুফু ট্রেক পর্ব 2 - Sandakphu Trek, Part 2

 সান্দাকুফু ট্রেক পর্ব 2

16th ডিসেম্বর 2020 টংলু
====================
সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলেই বাইরে বেরিয়ে দেখি রোদের আলোতে ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘা... আমি যদিও একটা পিক এর নাম জানিনা.. কিন্তু ওই যে তুষার শুভ্র পর্বত ওটাই যেন আমার কাছে সব কিছু, শুধু আমার কাছে কেন আপামর বাঙালি র কাছে একমাত্র আকর্ষন...

চা খেয়েই ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাশেই একটা উঁচু জায়গা আছে যেখান থেকে পুরো জায়গা টা 360 ডিগ্রি তে দেখা যায়.. সব ভালো শুধু মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা আর হাওয়ার দাপট টুকু ছাড়া
এই প্রসংগে বলে রাখি টংলু তে GTA এর ট্রেকার Hut এ ছিলাম... বুকিং হবে কলকাতা র গোর্খাভবন থেকে.. ওখানে গিয়েই বুক করতে হবে.. অনলাইন বা ফোন এ হবেনা..তবে আপনি যদি টুমলিং এ থাকেন সেখানে থাকার অনেক Home Stay পেয়ে যাবেন... তবে সুযোগ পেলে টংলু তে থাকুন কারণ ওখান থেকে দেখা সূর্যাস্ত কোনোদিন ভুলতে পারবেন না


সকাল 9.00 AM
============
প্রায় এক কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছে গেলাম টুমলিং... এবার ট্রেকিং রাস্তা আর গাড়ি চলাচল এর রাস্তা একইসাথে... কিছুটা গিয়ে সিংগালিলা ন্যাশনাল ফরেস্ট এর অফিস এ পারমিশন মানে Entry পাস নিতে হবে.. রেজিস্টার এ Signe করবেন গ্রুপের হেড.. আধার কার্ড থাকলেই হবে একজনের.. আর লাগবে 120 টাকা প্রতিদিন প্রতিজনের সান্দাকুফু ট্রেক করার জন্য...


আবারো পথ চলা শুরু... প্রায় তিন কিলোমিটার চলে বিরতি নিলাম নেপালের ছোট্ট একটা গ্রাম জৌবারী.... এখানে বেশ কিছু Home স্টে আছে... জায়গা টা খুব সুন্দর ।।চাইলে এখানেও রাত্রিবাস করতে পারেন...
জৌবারী থেকে আরো 3 কিলোমিটার পথ চলে গৈরিবাস, খুব ইন্টারেস্টিং জায়গা.. ভারত আর নেপালের মাঝে এমন একটা গ্রাম... যেখানে হাঁটার সময় ডান পা পড়বে ভারতের মাটিতে... বাম পা পড়বে নেপালের মাটিতে ।।।


পৌঁছে একটু বিরতি নিলাম... এবার আমার স্যাক টা পাঠিয়ে দিলাম কালিপোখরী.. ট্যুরিস্ট গাড়ি ছিলো একটা তাতেই উপায় হলো, তবে এর জন্য 100 টাকা দিতে হলো
গৈরিবাস এও চাইলে রাত্রি বাস করা যায়.. আমরা Momo খেলাম স্থানীয় দোকান থেকে... অপূর্ব স্বাদ
এরপর পথ উঠে গিয়েছে ওপরের দিকে.. গাইড বললো দুই কিলোমিটার এই ভাবেই উঠতে হবে.. আমরা সেই ভাবেই এগিয়ে গেলাম..তবে এক্ষেত্রে সুবিধা হলো মাঝে মাঝে শর্ট কাট গুলো... এই ব্যপারটা শিখেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে কেদারনাথ ট্রেক করার সময়


আমরা দুজন অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি... সামনে এগোবো কিনা ভাবছি কারণ রাস্তা না ভুল হয়ে যায় ওটাই ভয়... এমন সময় কোথা থেকে হাজির এক পাহাড়ি কুকুর... নিজেই আগে আগে চললো পথ দেখিয়ে.. যদিও আমাদের দেওয়া বিস্কুট সে ভদ্র ভাবেই নাকচ করলো... অভিমান কিনা বুঝতে পারলাম না..
চলতে চলতে নির্জন রাস্তায় হটাৎ মেঘ এসে সব যেন অন্ধকার করে দিলো. দাঁড়িয়ে পড়লাম. তারপর মেঘ কেটে গেলে চলা শুরু.. পৌঁছে গেলাম আরো একটা পাহাড়ি গ্রাম কাইয়াকাটা..


মানুষ দার্জিলিং সিকিম এ যায় বেড়াতে.. কিন্তু এই পর্বে আমার একটা কথা বার বার মনে হচ্ছিলো যারা এই সান্দাকুফু ট্রেক করবে... তাদের কাছে আর কোন কিছুই ভালো লাগবেনা কারণ প্রকৃতি এখানে অনবদ্য অতুলনীয়
।কাইয়াকাটা পৌঁছে স্থানীয় একটা সরাইখানা থেকে কফি নিলাম.. ক্লান্ত শরীরে যেন নতুন উৎসাহের সঞ্চার হলো.. কিছু সময় পরে টিম এর বাকি মেম্বার রা চলে এলো আবারো পথ চলা..
তবে এবার একটু দ্রুত কারণ বেলা পরে আসছে সন্ধ্যার আগে কালিপোখরী পৌঁছাতে হবেই
কিন্তু পথের যেন শেষ নেই.. যদি ও রাস্তা প্রায় সমান... কিন্তু এই শেষ চার কিলোমিটার এর যেন শেষ নেই.. অনেকটা চলার পরে নির্জন রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ এ চমক কাটলো, একটা যাত্রী হীন ল্যান্ডরোভার যাচ্ছে... নেহাত মজার ছলে লিফ্ট এর ঈশারা করতেই ড্রাইভার মুচকি হেসে ইঙ্গিত দিলো উঠে বসতে, ব্যাস আর কি চাই.. এই অভিজ্ঞতাও হয়ে যাবে, তবে গাড়ি চলতে যখন শুরু করলো.. বাপরে বাপ... সে ই যে ঝাঁকুনি
ভাগ্যিস রাস্তা খুব সামান্যই ছিলো নাহলে ড্রাইভার কে অনুরোধ করতাম নামিয়ে দিতে


গাড়ি থেকে কালিপোখরী তে নেমেই দেখি চারিদিক রাঙা করে সূর্য অস্তাচলে, আরো এক মহেন্দ্রক্ষনের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা. ঠিক গতকাল বিকেলে টংলু তে এই রকমই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে
সেই মুহূর্তে র সাক্ষী থাকলাম আমি সৌরভ আর কালিপোখরী র পুকুর
এরপর ঠান্ডা আর ক্লান্তি কে কোন কস্টে সহ্য করে শরীর টা প্রায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে চললাম একটু কাছেই আজকের আশ্রয় CHEWANG LODGE


এটা বুক করেছিলো আমাদের গাইড.. সত্যি অসাধারণ... ভাড়া বেড পিছু 300 টাকা.. আর ওপরে দুটো রুম এর বেড 800 টাকা.. ওটাই নিলাম.. তারপর আন্টির তৈরি লাল চা. পড়ে দুধ চা খেয়ে শরীর পুরো জুড়িয়ে গেলো... 13 কিলোমিটার পথ চলার জার্নি কোথাও হারিয়ে গেলো
রাতের আহার ছিলো 200 টাকা মিল সিস্টেম সব্জি ভাত ডাল আলুভাজা, চিকেন 4 পিস 100 টাকা
এরপর ঘুমের দেশে


17th ডিসেম্বর..
============
সকালে ঘুম যখন ভাঙল তখন সকাল 8 টা.. উঠে চা খেয়ে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়লাম কালিপোখরী লেক টা দিনের আলোতে ভালো করে দেখব বলে
এখানে মোবাইল এ কোন নেটওয়ার্ক নেই.. এই হোম স্টে থেকে বাড়িতে একটা ফোন করেছি. ISD কল 10 টাকা নিয়েছে এক মিনিটে
যাইহোক একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম সব জায়গার জল জমে গেলেও কালিপোখরী র জল কিন্তু জমেনি, স্থানীয় মানুষের কাছে এই পুকুর খুব পবিত্র তারা মনে করে এই পুকুরে বাস করে কালনাগ তাই এই জল কোনোদিন জমেনা
একটু পরেই দেখি মোবাইল এ নেটওয়ার্ক এসেছে
দরকারী ফোন গুলো করে নিলাম... ফিরে এসে ব্যাগ গুলো গুছিয়ে তৈরী হয়ে নিলাম সান্দাকুফু ট্রেক এর জন্য.. এর জন্যই তো এতো কষ্ট সহ্য করা.. রাস্তা যদিও 6 কিলোমিটার কিন্তু শুনেছি অনেকে হাঁটতে না পেরে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো অবস্থা হয়
কথাটা যে কতোটা সত্যি সেটা চলার পথে বুঝেছিলাম
যাইহোক আগামী পর্বে সেটা নিয়েই লিখব আর ওটাই হবে সান্দাকুফু অভিযানের শেষ পর্ব
বলে রাখি গাড়ি করে যেতেই পারবেন তবে একবার যদি সম্ভব হয় এই ট্রেক টা করে নিয়েন.. অনেকেই বলবে খুব কঠিন অনেকে বলবে খুব সহজ, কিন্তু আপনি কি বলবেন সেটা ই সব থেকে বড়ো কথা
আমিও করেছি প্রতিটা মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দী তৈরি করেছি অভিযানের পর্ব গুলো গল্পের মতো করে.. কেন জানেন? বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিচারণের জন্য

জীবনে কিছু থাকবে না. থাকবে এই অভিজ্ঞতা আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার অনুভূতি
এই পর্বের ভিডিও গুলো দেখতে পারেন নিচের লিঙ্ক গিয়ে...তৈরি হতে পারেন আগামী দিনে অভিযানের জন্য
https://youtube.com/c/TravelWithKoushik
ভালো থাকুন সবাই....


Koushik Paul

Tuesday, January 5, 2021

উত্তর সিকিম - North Sikkim

 সিকিম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অনেকের আছে, তাই একটু ছোট করে আমার জীবনের প্রথম উত্তর/উত্তর-পূর্ব ভারত ভ্রমণের বর্ণনা করলাম।

(বর্তমান সিকিমের তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলের বীভৎসতা সত্যি মনকে পীড়া দিচ্ছে। আশা করছি সেই অঞ্চলের বাসিন্দারা সুস্থ এবং ভালো আছেন)
কর্মসূত্রে বাইরে থেকেছি কিছু বছর। তখন থেকেই ঘুরে বেরানোর সূত্রপাত। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা আর দাক্ষিনাত্য মালভূমির পর্বতশ্রেণীগুলো ছাড়া শিবালিক হিমালয়ের শুভ্র তুষার ছড়ানো চূড়া আগে কোনোদিন দেখিনি বা সুযোগও হয়ে ওঠেনি। তাই ঠিক করলাম যাই হোক, হনিমুনটা উত্তর বা উত্তর পূর্ব ভারতের কোনো এক শৈল শহরেই করবো।
                                                গ্যাংটকে হোটেলের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য

2019 এর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শিয়ালদা থেকে রাতের ট্রেন এ পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি জংশন। একজন অনভিজ্ঞ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয় কোথায় কিভাবে সবকিছু ঠিকঠাক করবো। তাই সময় নষ্ট না করে একটা এজেন্টের সহায়তায় চলে এলাম তাদের অফিসে। সব কিছু ঠিকঠাক করে শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়িতে চেপে পড়লাম।
                                                                M G Marg এ রাত্রি বেলা

প্রথমবার উত্তরবঙ্গে পা রাখলাম, বেশ আলাদাই অনুভূতি ছিল, যখন শহর, জঙ্গল, তিস্তার পাড় পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম পশ্চিমবঙ্গ আর সিকিম এর সীমান্তে। এরপর সন্ধে নামার আগেই পৌছালাম গ্যাংটক। হোটেলটি বুক ছিল আগেই, M G Marg এর কাছেই। সেখানে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম মার্গ দর্শনে। ডিনার সেরে ফিরে এলাম, আর সেই যে বৃষ্টি শুরু হলো, ভাবলাম পরের দিনের ঘোরাটা বুঝি বাতিল হলো।
উত্তরের আবহাওয়ার সাথে আগে পরিচয় হয়নি, সকালে উঠে দেখলাম ঝলমলে রোদ। এখানে এরকমই হয়, সকালে রোদ আর দুপুরের পর থেকে আকাশের মুখ ভার। হোটেলেই ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম। আগের দিন রূপেন হোটেলে এসে ছবি আর আইডি প্রুফ এর জেরক্স নিয়ে গিয়েছিল।
টিবেত রোডের অফিসে পৌঁছে গেলাম 8টার মধ্যে, ট্যুরের কিছু টাকা পে করে শেয়ার গাড়ির সামনের সিটদুটোতে আমি আর ও বসে পড়তে গাড়ি ছেড়ে দিলো। মাঝে দাঁড়ালো পারমিট নেয়ার জন্য। তারপর আবার পথ চলা। একে বেঁকে আমরা ছানগু লেক পেরিয়ে দাঁড়ালাম একটা দোকানে। বরফে নামার জিনিসপত্র ভাড়া পাওয়া যায় সেখানে। বাবা মন্দির যাবার পথে বরফ দেখতে পেয়ে, নামতে চাইলে অনেকে ভাড়া করে আর কি। এসব করতে করতে পৌঁছে গেলাম বাবা মন্দির। ভাষায় সব কিছু প্রকাশ কি করবো, তাই কিছু ফটো আর ভিডিও দিচ্ছি। এবার সেখান থেকে বেরিয়ে চলে এলাম ছানগু তে। সেখানেও কিছু সময় কাটিয়ে আবার ফিরে আসা গ্যাংটকে।

পরদিন আমাদের 2 রাত 3 দিনের উত্তর সিকিম যাত্রা শুরু হবে, তাই একটু মনের মধ্যে জোস নিয়ে রাত্রি টা কাটিয়ে দিলাম হোটেলে। পাহাড়ি রাস্তায় বেশি খেলে কষ্ট হয়, তাই সেদিন সকালে অল্প করে খেয়ে 10টা নাগাদ হোটেলে চেক আউট করে চলে এলাম উত্তর সিকিম যাওয়ার স্ট্যান্ডে। একটু দেরিতে গাড়ি ছাড়ে যাতে লাচেন পৌঁছাতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে যায়। প্রথমে একজায়গায় লাঞ্চ করলাম তারপর একে একে কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট, নাগা ফলস, চুংথ্যাং দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম লাচেন। আর পথের শোভা তো আছেই। রাত্রিবাসটা লাচেনেই করলাম, খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লাম।
                                                                চানগু লেক, বাবা মন্দির যাবার পথে 
                                                                বাবা মন্দিরের প্রবেশ দ্বার

                                                                বাবা মন্দিরের পাশের সিঁড়ি
বৃষ্টি আর সঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা, কাঁপতে কাঁপতে উঠে পড়লাম। তখন বাজে ভোর 4টে। ফ্রেশ হয়ে চা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম গুরুদনগমার এর উদ্দেশ্যে। পথে ব্রেক ফাস্ট করে ঠিক হলো, কালা পাথর দেখে যাওয়া হবে। সেই মতো আমরা চেক পয়েন্ট পেরোতে পেরোতে পৌঁছলাম বরফের রাজ্যে। আগে ভাই এত বরফ দেখিনি, তাই একটু গড়িয়ে নিলাম বরফে। সময় নষ্ট করলে চলবেনা, তাই গাড়িতে উঠে পড়লাম। সুউচ্চ চেক পোস্ট গাইগাঁও পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম গুরুদনগমার। সেখানে পথের কষ্ট আর সৌন্দর্য মিলেমিশে একাকার। 17000 ফুট উঠে এসেছি ভাবা যায়, স্বাস নিতে পারছিনা এমন অবস্থা। এরপর ফিরে চলা, ততক্ষনে শরীরের অবস্থা কাহিল। পৌঁছলাম লাচেন, লঞ্চ সেরে আবার চলতে থাকা।
                                                                ছানগু লেক
চুংথ্যাং পৌঁছতে হয়ে গেল প্রায় বিকাল, গাড়িটাও সেখানে হয়ে গেল বিকল। প্রায় 1 ঘন্টা ওখানে ঘুরে আবার ডাক পড়লো গাড়ি ছাড়ার। একটা রাস্তা চলে যাচ্ছে লাচুং। রাস্তায় অমিতাভ বচ্চন ফলস দেখে সোজা এসে গেলাম লাচুঙ্গের হোটেলে।

এখানেও সেই বৃষ্টি পিছু ছাড়ে না, যেন সন্ধে নামলেই তার দেখা। রাত্রহারটা সেরে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম আমরা। পরের দিনটা আমাদের উত্তর সিকিমের শেষ দিন।
                                                      কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট, তবে মেঘে ঢেকে গেছে।
                                                                    নাগা ফলস
                                                                     লাচেন চু

সকাল সকাল বেরিয়ে চলে এলাম য়ুমথ্যাং ভ্যালি। প্রায় অনেকটা সময় এখানেই কাটিয়ে দিলাম, কারণ আর জিরো পয়েন্ট যাবার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে পারিনি। আবার ফিরে চললাম গ্যাংটকের পথে। সন্ধে হয়ে গেল পৌঁছাতে। পরের দিন রাতে হাওড়া যাবার ট্রেন ছিল আমাদের, সেই মতো পর দিন দুপুর দুপুর নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া।


এই ফিরে চলা তো আবার নতুনের সন্ধানের জন্য। পরবর্তী কালে আরো অনেক নতুন জায়গায় যাবো, তার ফটো ভিডিও নিয়ে চলে আসবো আবার তোমাদের কাছে। সেটুকু সময়ের জন্য বিদায় বন্ধুরা।
ভিডিও তুলেছিলাম সেগুলোকে যতটা পেরেছি সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের সামনে ধরতে চেষ্টা করেছি। কেমন লাগলো লিখে জানাবেন প্লিস।
Sikkim Full Playlist: https://www.youtube.com/playlist...
North Sikkim: https://youtu.be/-513Xqoo19M
#north_sikkim #lachen #lachung #baba_mandir #changu_lake #know_your_planet



Kanchan Dutta

Sunday, January 3, 2021

সান্দাকুফু ট্রেক পর্ব 1 - Sandakphu Trek, Part 1

সান্দাকুফু ট্রেক পর্ব 1 

13th ডিসেম্বর 2020

===============
খাগড়া ঘাট স্টেশন এর 3 নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকছে আপ তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস.. প্ল্যাটফর্ম এ অন্ধকার.. লাইট গুলো কোন কারনে অফ.. বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে কপালের কোনা টা কেটে গিয়েছে... জানিনা কেন আজকে সময় বার বার কোন অশুভ সংকেত দিয়ে আগামী সঙ্কট থেকে আমাকে আটকে দিতে চাইছে.. এতো জায়গায় বেড়াতে গেলাম কিন্তু এই প্রথমবার বাড়ির লোক খুব আপত্তি করেছিলো.. অজানা অচেনা মানুষ সব.. ভরসা বলতে কেদারনাথ আর আমার সিউড়ি র বন্ধু সৌরভ.. আর একজনের প্রবল টান.. আর সেই টান নিয়ে আজকের গল্প শিখরে বাঙালি সান্দাকুফু ট্রেক


অনেকেই বলবেন ও তো বহুবার গিয়েছি, খুব সহজ, সাধারন লেভেল এর ট্রেক.. কিন্তু আমার কাছে হয়তো অন্যকিছু
14th December 2020
==================
ট্রেন নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই রাত 2.30 এ NJP নামিয়ে দিলো.. মোবাইল এর ফ্ল্যাশ লাইট দিয়েও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেলাম না.
অপেক্ষা র পরে গাড়ি করে রওনা দিলাম ধোতরে র পথে সুকনার পথ ধরে কার্শিয়াং কে পাশে ফেলে ঘুম স্টেশন পেরিয়ে লেপচা জগতের থেকে দেশ থেকে 5 কিলোমিটার পরে রাস্তার ডান দিকের মোড় ধরে এগিয়ে গিয়ে মানেভঞ্জন থেকে আরো 18 কিলোমিটার পরে পৌঁছে গেলাম ধোতরে..
👉8500 ফুট ওপরে উঠে ঠান্ডা বেশ ভালো ভাবেই জানান দিলো তার অস্তিত্ব.. আশ্রয় হলো গাইড নীমার হোম স্টে কাম ট্রেকার হাট
বেড পিছু 200 টাকা..


👉জানলা খুলে দিলেই কাঞ্চনজঙ্ঘা র সাথে গল্প করা যায়.. এরপর হাজির হলো গরম গরম চিকেন Momo.. আট পিস করে জন প্রতি...
একটু ধাতস্হ হয়ে গাইড এর সাথে বেরিয়ে পরলাম ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম টা ময়না করতে, ভিউ পয়েন্ট গুলো দেখতে...
🍜দুপুরে আহার মিললো ভাত, ডাল, সব্জি চার পিস করে চিকেন পেঁয়াজ লঙ্কা আর পাপর ভাজা
সন্ধ্যা বেলা চা খেয়ে টর্চ নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাহাড়ি গ্রাম টা কে নিশাচর এর মতো ঘুরে দেখতে..রাতের আহার ছিলো রুটি আর ডিমের কারী...
😊এরপর তলিয়ে গেলাম ঘুমের দেশে.. ঠাণ্ডা এতো ইচ্ছে করছিলো কালকেই ঘুম থেকে উঠে বাড়ি ফিরে যাই কিন্তু সময় হয়তো আমার জন্য অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলো


15th December 2020
=================
ঘুম ভাঙল কিসের যেন আওয়াজে.. দেখি রুমের ভেতরে ধুপ ধাপ শব্দ.. তারপর ওরা সবাই জানলা দিয়ে এক এক করে.. ওই গানের লাইন টা ঘুম থেকে উঠেই দেখি বউ পালালো জানলা দিয়ে..
👉আসলে ভোরের আলোতে কাঞ্চনজঙ্ঘা তখন অপরূপ.. সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতেই সবাই... বাইরের দরজা বন্ধ কিনা..
👉এরপর সকাল হলো.. বাইরে তখন অদ্ভূত এক দৃশ্য.. রাতের শিশির মিহি তুষার কনা তে জলে রয়েছে পুরো উপত্যকা জুড়ে.. বাড়ির ছাদ থেকে মাঠের ঘাস সর্বত্র একই চিত্র..


👉চা পর্ব শেষ করে বাথরুমে গেলাম.. ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই প্রকৃতির ডাকে যেতেই হবে.. তবে কাজ শেষ এ প্রথম বার ধোয়ার পরিবর্তে মুছে নিতে হলো সৌজন্যে টিস্যু পেপার
এরপর Maggi ব্রেক ফাস্ট সেরে প্রস্তুত হলাম টংলু অব্দি ট্রেক এর জন্য.. সকাল 9:30 এ যাত্রা শুরু.. পিঠে ব্যাগ হাতে বাঁশের লাঠি যেটা খুব সাপোর্ট দিয়েছে...


👉এরপর বন জঙ্গল পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম এক অদ্ভূত দেশে.. যেখানে মেঘ গুলো খুব দ্রুত চলাচল করছে.. দূরে গরু গুলো মনের সুখে ঘাস খাচ্ছে.. তাদের গলায় বাঁধা ঘন্টা অদ্ভূত শব্দ সৃষ্টি করছে...
👉একটু ওপরে একটা রাস্তা গাইড বলল ওটাই টংলু শুরু হলো হাঁটা.. কিসের যেন আকর্ষন.. অবশেষে ট্রেকিং রাস্তা মিশে গেলো গাড়ি চলার রাস্তায়... কাঞ্চনজঙ্ঘা বার বার মেঘ এর আড়ালে কিংবা সামনে..
চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ.. যেন কোন যুদ্ধ জয়ের পরের দৃশ্য... ঘড়ির কাঁটা বলছে বিকেল 4 Pm..
টংলুর ট্রেকার হাট এ পৌঁছে সামান্য বিশ্রাম এর পরই ছুটে গেলাম.. কারণ ওই যে মেঘের দেশে সূর্য অস্ত যাচ্ছে.. আবারো রাত নামছে পাহাড়ে র বুকে.. ওই যে দূরে টুমলিং...
👉ফিরব পরের পর্বে এর পরের গল্প নিয়ে..
আজকের এই পর্বের ভিডিও শেয়ার করলাম যারা ট্রেক করেছেন বা করবেন তাদের আশাকরি মন ছুঁয়ে যাবে....
👉 https://youtu.be/sWa2vPalM8c 👈

🙏তবে আপনারা ভাবছেন সব তো ভালো খারাপ টা কি তবে? সেদিন আমিও জানতাম না খারাপ টা কি আজকে জেনেছি.. তাই আপনাদের একটা জিনিস বলে রাখি কোন গ্রুপ বা ফেসবুক এ বিভিন্ন নিত্য গ্রুপ নানা রকম ট্যুর এর আয়োজন করে...আমি বলছি না সবাই খারাপ.. শুধু যাওয়ার আগে যাচাই করে নিন.. যে ভুল টা আমার হয়েছে সেটা যেন আপনাদের না হয়... পঁচা শামুকে পা কেটে বসে আছি... জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর অব্দি দিপুদা থেকে চারধাম যাত্রা সম্পূর্ন.. কিন্তু শেষ অব্দি... যাক পরে বলবো সে কথা... গ্রুপ এর সদস্য দের নতুন বছরের শুভেচ্ছা.. এডমিন সাহেব সাহেবা দের ও.. আর নতুন বছর থেকে অনেক অনেক নতুন জায়গার সন্ধান গল্প ছবি নিয়ে ফিরব এই ভাবেই.... ভালো থাকুন সবাই.. সতর্ক থাকুন..

Koushik Pal