4 দিনের tour এ ঘুরে এলাম সিটং,তিনচুলে, দার্জিলিং.প্রায় দেড় মাস আগে টিকিট কেটে শুধু যাওয়ার দিনের অপেক্ষায় দিনগুনছিলাম, শুধুমাত্র আমিই নই আমার 5 বছরের ছেলেও..কারণ সেও বাড়িতে থেকে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিল. সেই March e গিয়েছিলাম দারিংবাডি, মান্দাসরু, গোপালপুর, পুরী. ফিরে এসে থেকে ঘর বন্দী. তাই একটা trip এর বড়োই প্রয়োজন ছিলো. ফিরে এলাম অনেক বিশুদ্ধ অক্সিজেন আর মনের মনিকোঠায় প্রকৃতির অপরূপ রূপ এর ছবি নিয়ে.
Lover's Meet PointNjp থেকে আমাদের আগের থেকে ঠিক করা গাড়িতে করে পৌঁছে গেলাম সিটং এর Himalayan Home stay তে.ছবির মতো সুন্দর জায়গায় homestay টি. জানলা খুলেই সামনে সবুজ ঘেরা পাহাড়. ওখানে পৌঁছে স্নান, খাওয়া সেরে চলে গেলাম sight seeing করতে. নামথিং পোখরি লেক, অহলদারা view point, orange garden.
Aholdara view point পরের দিন break fast খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম তিনচুলের উদ্দেশ্যে. পথে যেতে যেতে সারা রাস্তা কাঞ্চনজঙ্ঘা তার সুবিস্তৃত পাহাড়চূড়ার রূপ আমাদের সামনে মেলে ধরেছিলো. এতো পরিষ্কার ভাবে যেন মনে হচ্ছিলো একদম সামনেই বুঝি আছে. লোভ সামলাতে না পেরে বার বার গাড়ি দার করিয়ে ফটো তুলে যাচ্ছিলাম.
লামাহাটা Eco Park.পথে যেতে যেতে অনেক tea garden, নাম না জানা পাহাড়ি ঝর্ণা, Hanging bridge, যোগী ঘাট, Lover's meet point, বড়ো মাঙয়া দেখতে দেখতে দুপুরে তিনচুলের অভিরাজ homestay তে পৌঁছে গেলাম.আমরা ছিলাম কাঠের ঘরে. Room টি অনেক বড়ো ছিলো. সূর্য ডোবার পরে ভীষণ ঠান্ডায় লেপের তলায় জড়োসরো হয়ে গেছিলাম. কিন্তু হটাৎ কর্তা বাইরে বের হতে গিয়ে এমন কিছু দেখতে পেলো যে আমাদের সারাদিনের ধকল, ঠান্ডা সব এক নিমেষে উধাও হয়ে গিয়ে আমরা belcony তে চেয়ার নিয়ে বসে পরে তখন শুধু প্রকৃতির আকণ্ঠ রূপ পান করে চলেছি,,, অবাক বিস্ময়ে আমরা শুধু সামনে চেয়ে রয়েছি,,উফফফ,, আগের দিন ছিলো রাস পূর্ণিমা, একটা গোল রুপোর থালার মতন চাঁদ আর আমাদের সামনে শুধু দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়, একদম পরিষ্কার আকাশ, আর পাহাড়ের গায়ে সব আলোকবিন্দু যেন মনে হচ্ছিলো হীরের নেকলেস পরে রয়েছে,,, সেই সৌন্দর্য কোনোদিনও ভোলার নয়.এতো পরিষ্কার আকাশ ছিলো যে নেপাল বর্ডার এর আলোও পযন্ত দেখা যাচ্ছিলো.
সিটং এর রাস্তার পাশে orange garden.সন্ধ্যাবেলায় মোমো আর কফি খেয়ে আর রাতে কিছু খেতে পারিনি. পরের দিন সকালে দারুন ছোলে ভাটুরে খেয়ে হেটে হেটে gumbadara view point দেখে গাড়িতে করে দার্জিলিং.সেখান থেকে নামচি চারধামের সাদা প্রস্তর শিব মূর্তি দেখা যাচ্ছিলো. পথে তাকদা অর্কিড গার্ডেন,বাতাসিয়া লুপ, zoo দেখে আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেল এ পৌঁছে খাওয়া দাওয়া করে একটু marketing সেরে নিলাম.
পরের দিন ভোরে উঠে স্নান সেরে ম্যাল ঘুরে মহাকাল মন্দিরে পূজো দিয়ে Glenarys e breakfast সেরে ফেরার জন্য গাড়িতে উঠে পড়লাম. যদিও আমাদের খাবার হোটেল থেকেই দিয়েছিলো কিন্তু দার্জিলিং এ যাবো অথচ glenarys e খাবো না তা কি হয়, তাই হোটেল এর breakfast pack করে নিলাম, train e সন্ধ্যাবেলার টিফিন হিসাবে খেয়ে নিয়েছি.
ফিরে আসার সময় আবার পরের বছর যাওয়ার plan বানিয়ে নিলাম. যাওয়া আসার সারা রাস্তায় পাহাড়ী জঙ্গল, বড়ো পাইন, ওক, ফার আরও সমস্ত গাছের সৌন্দর্য আমাকে বরাবর মোহিত করে. তাই বারে বারে পাহাড়ের টানে ফিরে ফিরে যাই.
***নিচে ছবিগুলো দিলাম শুধু আমার মোবাইল এ তোলা কোনোরকম এডিটিং ছাড়া.
Darjeeling hotel Peak to peak. -9023121977.
সিটং Himalayan homestay -9382485004
অভিরাজ -9749370965.
Driver খুব বাজে ছিলো, কিছুই রাস্তা চেনে না, driver er জন্য আমাদের দুটো /তিনটে sightseeing দেখা হয় নি, তাই driver er কোনো contact number দিলাম না.
Bidisha Das




0 comments:
Post a Comment