• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Wednesday, December 30, 2020

চমৎকার চিলাপাতা ফরেস্টে(আলিপুরদুয়ার)- Splendid Chilapata Forest,(Alipurduar)

 ডুয়ার্স এর ঘোরার জায়গাগুলোর মধ্যে আমার কাছে চিলাপাতা অনেকটাই নীচের দিকে ছিল। কিন্তু বর্ষশেষে যখন থাকার জায়গা পাওয়া গেছে তখন খানিক নিমরাজি হয়েই যেতে হল। অর্কিড হোমস্টে পৌঁছে সবথেকে আগে চোখ টেনে নিল সামনে বিশাল মাঠ, আরে তারপরেই জঙ্গল শুরু। বাঙ্গালীর দুর্বলতা আমার মতে গরম এক কাপ চা। ঢুকতে না ঢুকতেই অসাধারণ চা পাওয়া গেল। আতিথেয়তা আর রান্না দুটোই দারুন। পরদিন সকালের সাফারিতে গেলাম। জঙ্গলের গন্ধ মাখা আর কুয়াশা ঘেরা পথের আনন্দ মেখে ফিরে আবার বেরলাম ওই মাঠ ধরে জঙ্গলের সীমানায়। এই মাঠে নাকি সন্ধ্যেবেলায় হাতির দল আসে। ভাগ্যক্রমে তাদের দেখা পাইনি, তবে পেলাম বেশ কিছু ময়ূর আর একটা মিষ্টি হরিণ।

কিছু ছবি রইল আপনাদের জন্য।










Samrat Banerjee

Friday, December 25, 2020

তাকদা তিনচুলে লামাহাটা - Takdah Tinchuley Lamahatta

তাকদা, তিনচুলে, লামাহাটা দার্জিলিং শহরের ছোট্ট ছোট্ট এই গ্রামগুলি কে প্রকৃতি নিজের হাতে সাজিয়েছে, এখানকার পাহাড়ি সৌন্দর্য যেকোনো হিল এরিয়ার সৌন্দর্যের থেকে কোন অংশে কম নয়..

                                                            দার্জিলিং থেকে তাকদা যাওয়ার পথে

                                                   গুম্ফাদারা ভিউ পয়েন্ট থেকে তোলা ছবি
দার্জিলিং থেকে ঘুম পেরিয়ে বাঁ হাতে ঘুরলেই পেশক রোড। দু’পাশে পাইন, আকাশের গায়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। দার্জিলিং থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে ৫,৫০০ ফুটের মতো উচ্চতায় এক অদ্ভুত মায়া জুড়ানো জায়গার নাম তাকদা।
                                                গুম্ফাদারা ভিউ পয়েন্ট থেকে লামাহাটা যাওয়ার পথে

লেপচা ভাষায় ‘তাকদা’-র মানে মেঘে বা কুয়াশায় ঘেরা। দার্জিলিং থেকে উচ্চতা কম, কিন্তু বেশ ঠাণ্ডা চারপাশ। লোকজনের হৈ-হুল্লোড় নেই, বাজারের মেলা ভিড় নেই। থাকার মধ্যে আছে পাহাড়ি স্নিগ্ধ নির্জনতা। আর আছে ঢেউ খেলানো চা-বাগান, অর্কিড।
                                 লামাহাটা যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে এলাচ গাছ

তাকদা থেকে তিনচুলে মাত্র ৩ কিমি। গাড়িতে মিনিট ৩০-এর রাস্তা। অসাধারন জায়গা। চারিদিকে পাহাড়ের মধ্যে একটুকরো জনপদ।
                                     লামাহাটা ইকো পার্কের ওয়াচ টাওয়ার থেকে তোলা ছবি

তিনচুলে থেকে সামান্য দূরে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অফুরন্ত পাইন বন, জায়গাটির নাম লামাহাটা।

এর উচ্চতা ৬৫০০ ফুট ।লামাহাটা মানেই পাহাড়ের পর পাহাড়। প্রকৃতি এখানে প্রতি মূহূর্তে রঙ বদলায়। খোলা পাহাড়ি পরিবেশে রয়েছে মন মাতানো চা বাগান। চারদিক নিঃশব্দ।
    
                         লামাহাটা থেকে দার্জিলিং ফেরার পথে

প্রকৃতি খুব যত্ন করে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তুলেছে লামাহাটাকে। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো জায়গাটা। পাহাড়ের পাদদেশ একটা পার্ক। রঙবেরঙের ফুল, গাছ। সুন্দরভাবে বাঁধানো একটা রাস্তা চলে গেছে পাহাড়ের ওপর। ওপরে ছোট্টো একটা লেক আছে। ২.৫–৩ কিমির ছোটো একটা ট্রেকিং এর স্বাদ পাওয়া যায়। পুরো জায়গাটা প্রকৃতিপ্রেমিকদের স্বর্গরাজ্য।
দার্জিলিং থেকে একদিনের ট্যুর এ তাগদা, তিনচুলে, লামাহাটা ঘুরে আবার দার্জিলিং ফিরে আসা.... এই ছোট্ট ট্যুরের কয়েকটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম....

Subrata Dey


Tuesday, December 15, 2020

তিনচুলে, দার্জিলিং- Tinchuley, Darjeeling

 4 দিনের tour এ ঘুরে এলাম সিটং,তিনচুলে, দার্জিলিং.প্রায় দেড় মাস আগে টিকিট কেটে শুধু যাওয়ার দিনের অপেক্ষায় দিনগুনছিলাম, শুধুমাত্র আমিই নই আমার 5 বছরের ছেলেও..কারণ সেও বাড়িতে থেকে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছিল. সেই March e গিয়েছিলাম দারিংবাডি, মান্দাসরু, গোপালপুর, পুরী. ফিরে এসে থেকে ঘর বন্দী. তাই একটা trip এর বড়োই প্রয়োজন ছিলো. ফিরে এলাম অনেক বিশুদ্ধ অক্সিজেন আর মনের মনিকোঠায় প্রকৃতির অপরূপ রূপ এর ছবি নিয়ে.

                                                           Lover's Meet Point

Njp থেকে আমাদের আগের থেকে ঠিক করা গাড়িতে করে পৌঁছে গেলাম সিটং এর Himalayan Home stay তে.ছবির মতো সুন্দর জায়গায় homestay টি. জানলা খুলেই সামনে সবুজ ঘেরা পাহাড়. ওখানে পৌঁছে স্নান, খাওয়া সেরে চলে গেলাম sight seeing করতে. নামথিং পোখরি লেক, অহলদারা view point, orange garden.
                                                     Aholdara view point

পরের দিন break fast খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম তিনচুলের উদ্দেশ্যে. পথে যেতে যেতে সারা রাস্তা কাঞ্চনজঙ্ঘা তার সুবিস্তৃত পাহাড়চূড়ার রূপ আমাদের সামনে মেলে ধরেছিলো. এতো পরিষ্কার ভাবে যেন মনে হচ্ছিলো একদম সামনেই বুঝি আছে. লোভ সামলাতে না পেরে বার বার গাড়ি দার করিয়ে ফটো তুলে যাচ্ছিলাম.
                                                লামাহাটা Eco Park.

পথে যেতে যেতে অনেক tea garden, নাম না জানা পাহাড়ি ঝর্ণা, Hanging bridge, যোগী ঘাট, Lover's meet point, বড়ো মাঙয়া দেখতে দেখতে দুপুরে তিনচুলের অভিরাজ homestay তে পৌঁছে গেলাম.আমরা ছিলাম কাঠের ঘরে. Room টি অনেক বড়ো ছিলো. সূর্য ডোবার পরে ভীষণ ঠান্ডায় লেপের তলায় জড়োসরো হয়ে গেছিলাম. কিন্তু হটাৎ কর্তা বাইরে বের হতে গিয়ে এমন কিছু দেখতে পেলো যে আমাদের সারাদিনের ধকল, ঠান্ডা সব এক নিমেষে উধাও হয়ে গিয়ে আমরা belcony তে চেয়ার নিয়ে বসে পরে তখন শুধু প্রকৃতির আকণ্ঠ রূপ পান করে চলেছি,,, অবাক বিস্ময়ে আমরা শুধু সামনে চেয়ে রয়েছি,,উফফফ,, আগের দিন ছিলো রাস পূর্ণিমা, একটা গোল রুপোর থালার মতন চাঁদ আর আমাদের সামনে শুধু দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়, একদম পরিষ্কার আকাশ, আর পাহাড়ের গায়ে সব আলোকবিন্দু যেন মনে হচ্ছিলো হীরের নেকলেস পরে রয়েছে,,, সেই সৌন্দর্য কোনোদিনও ভোলার নয়.এতো পরিষ্কার আকাশ ছিলো যে নেপাল বর্ডার এর আলোও পযন্ত দেখা যাচ্ছিলো.
                                            সিটং এর রাস্তার পাশে orange garden.

সন্ধ্যাবেলায় মোমো আর কফি খেয়ে আর রাতে কিছু খেতে পারিনি. পরের দিন সকালে দারুন ছোলে ভাটুরে খেয়ে হেটে হেটে gumbadara view point দেখে গাড়িতে করে দার্জিলিং.সেখান থেকে নামচি চারধামের সাদা প্রস্তর শিব মূর্তি দেখা যাচ্ছিলো. পথে তাকদা অর্কিড গার্ডেন,বাতাসিয়া লুপ, zoo দেখে আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেল এ পৌঁছে খাওয়া দাওয়া করে একটু marketing সেরে নিলাম.

পরের দিন ভোরে উঠে স্নান সেরে ম্যাল ঘুরে মহাকাল মন্দিরে পূজো দিয়ে Glenarys e breakfast সেরে ফেরার জন্য গাড়িতে উঠে পড়লাম. যদিও আমাদের খাবার হোটেল থেকেই দিয়েছিলো কিন্তু দার্জিলিং এ যাবো অথচ glenarys e খাবো না তা কি হয়, তাই হোটেল এর breakfast pack করে নিলাম, train e সন্ধ্যাবেলার টিফিন হিসাবে খেয়ে নিয়েছি.
ফিরে আসার সময় আবার পরের বছর যাওয়ার plan বানিয়ে নিলাম. যাওয়া আসার সারা রাস্তায় পাহাড়ী জঙ্গল, বড়ো পাইন, ওক, ফার আরও সমস্ত গাছের সৌন্দর্য আমাকে বরাবর মোহিত করে. তাই বারে বারে পাহাড়ের টানে ফিরে ফিরে যাই.

***নিচে ছবিগুলো দিলাম শুধু আমার মোবাইল এ তোলা কোনোরকম এডিটিং ছাড়া.
Darjeeling hotel Peak to peak. -9023121977.
সিটং Himalayan homestay -9382485004
অভিরাজ -9749370965.
Driver খুব বাজে ছিলো, কিছুই রাস্তা চেনে না, driver er জন্য আমাদের দুটো /তিনটে sightseeing দেখা হয় নি, তাই driver er কোনো contact number দিলাম না.

Bidisha Das

Wednesday, November 25, 2020

কানকেব‌ঙ (কালিম্পং) - kankebong (kalimpong)

 অনেকেই হয়তো এই জায়গাটির নাম শোনেননি, কিন্তু হিমালয়ের আঁকাবাঁকে, আনাচে-কানাচে কত অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে যে প্রকৃতি সেজে আছে তা এই গ্রামে এলেই বুঝবেন। কালিম্পং ডিভিশনের এক ছোট্ট গ্রাম কানকেবং আপনাকে অবাক করবে, তার রূপ-লাবণ্যে।

যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসেন এবং শুধু এবং শুধুই অবসর কাটানোর ঠিকানা খুঁজছেন এবং পাহাড়ের সেই পরিচিত কাঠপোড়া গন্ধ, সবুজের নিস্তব্ধতা চান তাদের জন্য‌ই এই লোকেশন। পাহাড়ী জীবনের মাটির স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন কানকেবং থেকে।

যারা একবার এখানে গেছেন তারা যে সহজেই এই জায়গার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েছেন, বলাই বাহুল্য। কালিম্পং থেকে ঘন্টাখানেকের রাস্তা পেরিয়ে ডাউনহিলে মূলত এই গ্রাম। এছাড়াও বিভিন্ন হিমালয়ান পাখির আস্তানা এই ছোট্ট জনপদ। স্বভাবতই পাখি প্রেমীদের ক্রমেই প্রিয় ডেস্টিনেশন হয়ে উঠবে।

শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে সবুজের মাঝে দুদিন ঘুরে যেতেই পারেন এই পাহাড়ী গ্রামটিতে। আপনি যদি প্রকৃতি কে ভালোবাসেন তবে আবার ফিরে আসতে হবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পৌঁছতে সময় লাগে ঘন্টা চারেক। হোমস্টেটিও চমৎকার।


বাঁশ দিয়ে তৈরী চমৎকার তিনটি কটেজ। খাওয়াদাওয়া, আতিথিয়তাও বেশ ভালো। রাতের বেলা ওপরের পাহাড়ে লোলেগাও, কাফেরগাও এর আলো জ্বলে উঠলে দেখতে বেশ লাগে। তবে এখানে বিশেষ করার কিছু নেই শুধুই অবসর যাপন ছাড়া। হোমস্টে লাগোয়া একটি ছোট্ট সুইমিং পুল‌ও আছে।

এখান থেকে দেখার জায়গার মধ্যে , কালিম্পং, দূরপীন, ডেলো সব‌ই ঘুরে আসা যায়। এছাড়া কাফেরগাঁও, লোলেগাঁও, সামথার প্রভৃতি জায়গা গুলিও ঘুরে আসতে পারেন দিনে দিনেই। ওখানে পৌঁছেই ঠিক করুন, শুধু‌ই অবসর যাপন নাকি সাইটসিংয়ে বেড়িয়ে পড়বেন কিনা গাড়ী নিয়ে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দূরত্ব- ৮২ কি.মি
গাড়ী ভাড়া- ৩৫০০-৪০০০/- টাকা।
কালিম্পং থেকে দূরত্ব ১৫ কিমি, গাড়ী ভাড়া আনুমানিক ৮০০-১০০০ টাকা।
হোমস্টেতে থাকা খাওয়ার খরচ ১৫০০/- জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ।
+916291538880


Himalayan Retreat

Monday, November 23, 2020

টংলু, দার্জিলিং - Tonglu, Darjeeling

 তাজপুরে ঘুরতে গিয়েছিলাম এই আগস্ট মাসের সময়, 6জন বন্ধুমিলে। কিন্তু কয়েকজন বন্ধু যেতে পারেনি, তাদের কথা ভেবেই খারাপ লাগছিল, ঠিক করি সামনের নভেম্বরের ৮ তারিখে বেড়াতে যাব সবাই মিলে টংলু, ১রাত থাকব, বাকি যাওয়া আসা মিলিয়ে যে ছুটি দরকার তাতে আর কাওকে অতিরিক্ত ছুটি নিতে হবে না কারন শুক্রবার বিকেলে বেরিয়ে রবিবার ফেরা । ২০মিনিট কি ৩০ মিনিটের মধ্যে সবার জন্য টিকিট কেটে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেই ১রাত থাকার বদলে দুই রাত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।



সেই দিন এল, অপেক্ষার শেষ, 9জন বন্ধু বান্ধবী ব্যাগ গুছিয়ে খাগড়াঘাট রেল স্টেশন থেকে সন্ধ্যে 6 টার সময় গাড়ি ধরি, দুই বন্ধু আগেই থেকে উঠেছে দুপুরেই এই এক এ গাড়িতে শিয়ালদা থেকে , আর যাদের জন্য এই ট্রিপ টা করেছিলাম তারাও আগের বারের মত এবার যেতে পারেনি বিশেষ জরুরি কারনে। গল্প আড্ডা সেরে, আগেই নিয়ে আসা খাওয়ার খেয়ে ঘুম দিলাম সবাই কারন মাঝরাতে (২ঃ৪০) ট্রেন থেকে নামতে হবে। তবুও বদ অভ্যাস মাঝ রাতে ঘুমনো তাই শেষে 1ঘন্টা ঘুমের পর পৌছলাম NJP Station । ফ্রেশ হয়ে বেরলাম তখন সকাল 5টা প্রায়। লেপচা-জাগাত এর দুটো গাড়ি বলাছিল। তাদের সাথেই মানেভঞ্জনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মাঝ পথে লেপচা জাগাতে রবিন ভাইয়ার সাথে দেখা করে নিলাম। উনি একটি হোম স্টে এর মালিক, নাম Pakhrin homestay , যেখান থেকে রাতের ঝলমলে দার্জিলিং শহরটা অপুর্ব লাগে দেখতে। 4বার থেকেছি ওখানে। যাই হোক,



মানেভাঞ্জান পৌছে আনিল ভাইয়ার সাথে কথা বলে দুটি 70বছরের পুরনো land rover গাড়ি নিয়ে রউনা। প্রথম গন্তব্ব টংলু, এখানে এই নিয় 7-8 বার থাকা হলো। এখানে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার যে দৃশ্য দেখা যাই তার তুলনা হয়না। তো টংলু তে একটাই সরকারি ট্রেকার্স হাট , আর একটা homestay আছে রাজিবের, আর সদ্দ্য বানানো একটা homestay যেটা সরকারি ট্রেকার্স হাট থেকেই সামলানো হয়। আগেই বলে রাখা ছিল সেই রুম গুলই পৌছে ব্যাগ গুলো রেখেই বাইরে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য



একটু সময় নিয়েই দুপুরের খাওয়ার খেয়ে একটু রেস্ট । তার পর বিকেলে উঠে চললাম কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন্য, বিকেলের পরন্ত দদ্দুর সেই কাঞ্চনজঙ্ঘাকে রাঙ্গিয়ে দিতে দিতে এক সময় টক টকে লাল রং এ পরিনত করেছিল। সেটা দেখানোর জন্য সকল কে হাক মারলাম কিন্তু এলো ৫-৬জন। তাদের সাথে সেই দৃশ্য উপভোগ করে ও কিছু ছবি তুলে রুমের মধ্যে আসলাম। সন্ধে টা একটু আড্ডা দিয়ে গান শুনে কাটিয়ে রাতের খাওয়ার খেয়ে ঘুম দিলাম রাত তখন ৯ঃ৩০ , তার মাঝে ভূতের গল্প বেশ জমে উঠেছিল। সকালে ৪ঃ৩০ থেকে সবাই রেডি সানরাইস দেখবে বলে, তখন খুব অন্ধকার। অনেক বলে ওদের আটকে শেষে সকাল ৫ঃ১৫ নাগাদ বেরলাম সবাই। ৫ঃ৩০ এর পর দেখলাম সেই অপূর্ব সোনালি রঙের কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।



এবার রউনা দিলাম চিত্রের উদ্দেশ্যে, একটাই homestay , মালিকের নাম phuntsok , মজা করে বলেন আমার নাম phuntsok , কিন্তু wangdu নই (হিন্দি তে) । সেখানে ২ টো রুম নিয়ে বেরলাম চিত্রের মাঠে । সেখানে ৩-৪ ঘণ্টা কাটালাম , দেখলাম কি ভাবে পরিস্কার আবহাওয়া থেকে ঘন মেঘে ঢেকে যাই চারপাশ। কত মেঘ যে গায়ে লেগে বেরিয়ে গেল। আর তার অসাধারন অনুভুতি । সন্ধ্যাই একটু ক্যাম্পফায়ার সেরে রাত্রি ভজন করে আবার বেরলাম বাইরের দৃশ্যটা দেখব বলে, কারন আজই এই ট্রিপের শেষ রাত্রি। ১ ঘণ্টা বাইরে কাটিয়ে রুমে এসে ঘুম, ভোরবেলাই সবার ঘুম ভাঙ্গিয়ে সানরাইস দেখালাম রুম এর ব্যাল্কনি থেকেই। এর পর বাড়ি ফেরার পালা......।

Sumit Das

Sunday, November 22, 2020

সুন্দরবন এর সৌন্দর্য - Beauties of Sundarban

 আপনারা অনেকেই দেখছি এই pandemic এ ঘরবন্দী হয়ে বিরক্ত। আসুন একটু সুন্দরবন ঘুরে আসি ছবির মাধ্যমে। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে চিহ্নিত এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আজ না থাকলে আমরা থাকতাম না।আইলা, বুলবুল, আম্ফান এই সবের সাক্ষী এই ফরেস্ট। একাধিক বার বাঁচিয়েছে আমাদের বিপর্যয় থেকে। আমরা তার দেখাশোনা করলে ভবিষৎ এও বাঁচাবে।


সুন্দরবন এর পশু পাখির কথা ভাবলেই আমাদের প্রথম মনে দাগ কাটে বেঙ্গল টাইগার। এদের দেখতে পাওয়া যতটা কঠিন, এরাও কিন্তু খুব কষ্ট জীবন কাটায়।
                                                        Peregrine Falcon
                                                                Buffy Fish Owl

ম্যানগ্রোভ এ মানুষ সহ প্রত্যেক টা প্রাণী জীবন সংগ্রাম করে। প্রত্যেক টা দিন একটা লড়াই। পশু ও পাখী প্রেমিকদের জন্য এটি একটি কেন্দ্রস্থল। Buffy ফিশ owl একমাত্র ভাগ্যে থাকলে এখানে সহজেই দেখা যায়।
                                     Smooth- coated Otter family with Egret 
                                                                        Wild Boar family
                                                             Spotted Deer
                                                     Irrawaddy Dolphin 
                                                    Ruddy Kingfisher
                                                                    Fiddler Crab
                                                                    Black Capped Kingfisher 
                                                                Crested Serpent Eagle
                                                               Ornate Flying snake
                                                            
White- bellied sea Eagle
                                                     
Brown-Winged Kingfisher
                                                                    
Mudskipper 
                                                      
Water monitor Lizard 
                                                          
King Kobra
                                                          
Saltwater Crocodile
এছাড়া পরিযায়ী পাখী শীতকালে এখানে প্রচুর আসে। আসুন সুন্দরবন এর মানুষের পাশে দাড়াই। ঘুরে আসুন সুন্দরবন ২ রাতের জন্য, আপনার নিশ্চই খুব ভালো সময় কাটবে।
ধন্যবাদ।...


Himadri Mandal