• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Monday, October 26, 2020

চালামথাং, সাউথ সিকিম - Chalamthang, South Sikkim

 সাউথ সিকিমের ছোট্ট এবং সুসজ্জিত একটি গ্রাম চালামথাং। স্থানীয় লেপচা ভাষায় 'চালামথাং' কথার অর্থ হলো কমলালেবুর বাগিচা। চালামথাং সিকিমের অন্যতম পরিস্কার অর্গানিক ভিলেজ।

প্রকৃতির পরম সৌন্দর্যের স্বাদ পেতে এই গ্রামে কাটিয়ে যেতে পারেন দুদিন। হোমস্টে থেকে পাহাড়ের দূরন্ত ভিউ আর সঙ্গে স্থানীয় খাবারের স্বাদ আপনাকে এক স্বর্গীয় অনুভুতি এনে দেবে। এই গ্রামের বেশিরভাগটাই আপনাকে পাঁয়ে হেটে ঘুরতে হবে। মূলত: প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে যারা দেখতে চান, প্রকৃতির নিঃস্তব্ধতা কে যারা নীলকন্ঠের মতো পান করে নিতে চান তাদের জন্যই চালামথাং।

পাইনের বনে হারিয়ে যাওয়া বা ছোটখাটো ট্রেকিং, গ্রামের টাটকা সব্জির রান্না সবই উপভোগ করতে পারেন অপূর্ব সুন্দর এই জনপদে। তবে এই হোমস্টেতে ননভেজ খাবার খাওয়া যায়না, সম্পূর্ণ মিল ভেজ হলেও, রান্নার গুণে তা অতুলনীয়।

চালামথাং থেকে কাছেপিঠে রাভাংলা, নামচি চারধাম, সম্পদ্রুপ্সে মনাস্ট্রি, টেমি টি গার্ডেন, টেনডং বায়ো ডাইভার্সিটি পার্ক প্রভৃতি জায়গা গুলি সহজেই ঘুরে আসতে পারেন। দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়।


এছাড়া তারে ভির অবশ্যই দেখবেন। ১০০০০ ফিট দীর্ঘ পাহাড়ী ঢালে সরু সর্পিল পথ চলে গেছে মাঝ বরাবর। যেখান থেকে আপনি দেখতে পাবেন রংগীত ও তিস্তা নদীকে। তারে ভিরের হিলটপে আপনি দেখা পেতেই পারেন বিরল প্রজাতীর বন্য পাহাড়ি ছাগলের। তারে ভির প্রকৃতির এক আশ্চর্য্য সৃষ্টি। পাইনে মোড়া তারে ভির তাই কোনমতেই মিস করবেন না।


নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চালামথাং এর দূরত্ব ১০০কিমি
গাড়ী ভাড়া- ৪৫০০-৫০০০/-
হোমস্টে- জন প্রতি প্রতিদিন থাকা ও খাওয়ার খরচ ১৬৫০/- (ভেজ মিল)
+91 6291538880
info@himalayanretreat.co.in

Wednesday, October 21, 2020

সাংসের কালিম্পং - Sangser Kalimpong

 কালিম্পং থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে, রংপো যাওয়ার পথে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এক ছোট্ট পাহাড়ী হ্যামলেট সাংসের। অনেকেই হয়তো নাম শোনেন নি তবে ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের আভ্যন্তরীণ ডেলো পাহাড়ে ঘেরা সাংসের খাসমহল প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। ইট-কাঠ-পাথরের জঙ্গলে দৈনন্দিন একঘেয়ে কর্মজীবনে যারা ক্লান্ত, তাদের জন্য টি এস এলিয়টের ভাষায় এ যেন এক প্রকৃত "এসকেপ ফ্রম রিয়েলিটি"।

ঘন সবুজ প্রকৃতির লুকোনো এই ঠিকানা আপনার একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি কাটানোর এক আদর্শ ডেস্টিনেশন হতে পারে। দুদিনের ছুটিতে যারা কাছে-পিঠে পাহাড়ী অফবিটের সন্ধান খুঁজছেন তারা আসতেই পারেন সাংসেরে। একদিকে সুন্দরী তিস্তার আনমনে বয়ে যাওয়া আর অন্যদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে যেন হাত দিয়ে ছুয়ে ফেলা যায় সাংসের থেকে। সবমিলিয়ে প্রকৃতি তার সব উজার করে অভ্যর্থনা করবে আপনাকে। ছোট্ট গ্রামটিতে জনসংখ্যা খুবই কম, হোমস্টে ও খুব বেশি নেই। তবে হোমস্টের আতিথিয়তা চমৎকার।


এই হোমস্টেটির বারান্দায় বসেই আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার উপস্থিতি অনুভব করবেন। বসবার জন্য চমৎকার কয়েকটি শেড করা আছে এখানে। প্রিয় মানুষদের সাথে এখানে বসে আকাশে মেঘের খেলা দেখতে দেখতে কেটে যেতে পারে কয়েকটা বেলা। হোটেল বা রিসর্টের আতিশয্য না পেলেও হোমস্টেতে পাবেন ঘরের মানুষের মতো আতিথিয়তা।

এখান থেকে খুব কাছেই কালিম্পং শহর। মাত্র ১৪ কিমি দূরে হওয়ায় দিনে দিনে কালিম্পং থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দূরপীন, ডেলো, রামিতে ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টক প্রভৃতি স্থান খুব কাছেই। এগুলোও ঘুরে আসা যায়। লাভা-লোলেগাও, রিশপ, কোলাখাম, ইচ্ছেগাঁও, সিলেরিগাও প্রভৃতি সাংসের থেকে ঘুরে আসা যায়। ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের অন্তর্গত হওয়াও এই সাংসের এর আসেপাশেই হেঁটে হেঁটে উপভোগ করতে পারেন হিমালয়ের এই লুকনো আস্তানা কে। যারা পাখি ভালোবাসেন, নানা পাখির খোঁজ করেন হিমালয়ের আনাচে কানাচে তাদের জন্য এক কথায় স্বর্গীয় এক ঠিকানা সাংসের। প্যাকেজ ট্রিপের দৌড়াদৌড়ি, তথাকথিত টুরিস্ট স্পটের ভীড় এড়িয়ে তাই আপনার আস্তানা হোক সাংসের।




নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সাংসের এর দূরত্ব ৮৫ কিমি। গাড়ীতে সময় লাগে ঘন্টা তিনেক। গাড়ী ভাড়া ৩০০০-৩৫০০/- টাকা।

হোমস্টের খরচ- ১২০০/- টাকা জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ। (নূন্যতম দুজন)
06291538880



Himalayan Retreat

Sunday, October 11, 2020

ঘাটশিলা পুরুলিয়া - Ghatshila Purulia

 পাহাড় , নদী , জঙ্গল , ঝর্ণা , লেক , ড্যাম এই সব যদি একসঙ্গে দেখতে চান , আর যদি চান কলকাতার খুব কাছে , তাহলে আছে একটি মাত্র জায়গা , ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ঘাটশিলা। ছোটনাগপুর মালভূমির অংশবিশেষ আর খনিজ সম্পদেও পরিপূর্ণ। উইকএন্ড এর ছুটিতে এমনকি ১ দিনের ট্রিপেও এই স্পট গুলোর কিছু ঘুরে আসতে পারেন।

                   

**আমাদের প্ল্যান
গত ২৫ এ ডিসেম্বর ১১ জন বন্ধু মিলে ৩ দিনের জন্য ঘুরে এলাম ঘাটশিলা আর টাটানগর। ২৫ এ সকালের ট্রেনে ঘাটশিলা পৌছালাম , ৩ ঘন্টার যাত্রাপথ। আমাদের গাড়ি বুক ছিল , প্রথম দুদিন ঘাটশিলার বিভিন্ন স্পট ঘুরলাম আর তৃতীয় দিন সকালে ঘাটশিলা হোটেল থেকে চেকআউট করে টাটানগর ঘুরে , টাটানগর থেকে রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরলাম।

                                                                স্বর্ণরেখা ভিউ পয়েন্ট

->প্রথম দিন ঘুরলাম: ধারাগিরি ফলস , বুরুডি লেক বা ড্যাম , সুবর্ণরেখার সান সেট পয়েন্ট , চিত্রকূট টিলা (সঙ্গে সিদ্ধেশ্বর মন্দির) আর বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ি গৌরী কুঞ্জ।
                                                            ধারাগিরি ফলস

এছাড়াও এই রাস্তায় পড়বে ঘাটশিলা রাজবাড়ী (সান সেট পয়েন্ট এর কাছে) আর রামকৃষ্ণ মঠ , দেখে নিতে পারেন ।
মেন্ রোড থেকে ধারাগিরি যাবার রাস্তা লাল মাটির , শাল মহুয়ার জঙ্গল ও দেখতে পাবেন। রাস্তা সরু আর কিছুটা খারাপও। তাই অটোতে যেতে সময় লাগবে আর কষ্টও হবে। আর এই রাস্তায় প্রথমে পড়বে বুরুডি লেক আর তারপর ধারাগিরি।
                                                                বুরুডি লেক

->দ্বিতীয় দিন ঘুরলাম: ফুলডুঙরি টিলা , হিন্দুস্তান কপার লিমিটেড এর গেট , স্বর্ণরেখা ভিউ পয়েন্ট , সিদ্ধেশ্বর পাহাড় (পাহাড়ের ওপর একটা মন্দির আছে) , রঙ্কিনী দেবীর মন্দির।
সময় থাকলে narwa ফরেস্ট , গালুডিহি ড্যাম ঘুরতে পারেন। আমরা পরের দিন গালুডিহি ড্যাম ঘুরে টাটানগর গেছি।

->তৃতীয় দিন ঘুরলাম: গালুডিহি ড্যাম , আর টাটানগর এ ডিমনা লেক , চান্ডিলা ড্যাম
                                                                    সিদ্ধেশ্বর পাহাড়

                                                                রঙ্কিনী দেবীর মন্দির
সময় থাকলে দলমা বেস , জয়দা মন্দির , সাই বাবা মন্দির ঘুরতে পারেন।
**কিভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ঘাটশিলার ট্রেন পেয়ে যাবেন , তবে সকালের ট্রেনে যাওয়া খুব সুবিধের। ৩ ঘন্টায় পৌঁছে , হোটেলে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়তে পারবেন।
                                                                    চিত্রকূট টিলা

যদি ঘাটশিলা শুধু ঘোরেন , গাড়ি বুক করতে পারেন বা স্টেশন এর বাইরে অটো আছে , বুক করুন। অটো এর রেট চার্টও দেয়া আছে।
                                                                    গালুডি ড্যাম
                                                                        ডিমনা লেক

যদি ঘাটশিলা থেকে টাটানগর আসতে চান , ট্রেনেও আসতে পারেন , এক ঘন্টা সময় লাগে। ফেরার দিন টাটানগর থেকে হাওড়া এর টিকিট কেটে রাখুন , অনেক ট্রেন আছে , তবে বিকালের টায় কাটা ভালো।

                                                                            ডিমনা লেক

সুতরাং ফেরার দিন সকালের ট্রেনে ঘাটশিলা থেকে টাটা আসুন বা আগের দিন রাতে আসতে পারেন , তবে তাতে আবার আপনাকে টাটা তে হোটেল বুক করতে হবে।


                                        গৌরী কুঞ্জ - বিভূতিভূষণ এর বসতবাটি
টাটানগর থেকে গাড়ি ভাড়া করে স্পট গুলো ঘুরে নিন।
**কোথায় থাকবেন?
আমরা ছিলাম হোটেল কৌশল্যা তে (ফুলডুঙরির সামনে)। সেটা হাই রোডের ওপর , আসে পাশে সেরকম কিছু নেই , তাই সাজেস্ট করবো না। আগে অন্য হোটেল বা গেস্ট হাউস দেখুন , যা পিক টাইম ছাড়া পাওয়া যায়। নয়তো কিছুদিন আগে থেকে বুক করে নিন।
                                                                ফুলডুঙরি টিলা
**কোথায় খাবেন?
আমরা প্রথম দিন খেয়েছিলাম হোটেল রেইন বার্সে তে , দ্বিতীয় দিন হোটেল রঙ্কিনী তে (ফুলডুঙরির উল্টো দিকে)। আর তৃতীয় দিন টাটানগর যাবার দিন হাই রোডের ওপর পাঞ্জাবি ধাবায়। তবে দ্বিতীয় দিনের হোটেল টা ভালো ছিল।
**কখন যাবেন?
শীতকালের সূর্যের আলোতেও গরম লাগে , তাই বলবো শুধু শীতকালেই যান , ঘুরতে পারবেন।
ফটো আমার আর আমার বন্ধুদের তোলা
সব স্পট ঘুরতে সময় লাগবে , তাই কিছু স্পট মিস ও হতে পারে। আর খরচ বেশি হবে না , তাই ছোট্ট ছুটিতে এই শীতকালেই ঘুরে আসতে পারেন ঘাটশিলা। আর যদি আমাদের এই ঘাটশিলা ভ্রমণ পর্ব দেখতে চান তাহলে আমাদের ইউটুবে এ দেখতে পারেন , লিংক দিলাম।


Kanchan Dutta