ঐতিহাসিক রেশম পথের অন্যতম ট্রান্সিট পয়েন্ট জুলুক আজকের দিনে এক পরিচিত ট্রাভেল ডেস্টিনেশন। কয়েক দশক আগেও যে পথে রেশমের বাণিজ্য চলতো ভারত ও তিব্বতের মাঝে, সে পথ ধরেই আজ অসংখ্য ট্রাভেলর প্রতি বছর পূর্ব হিমালয়ের ছোট্ট এই জনপদে আসেন এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে। ৯,৪০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত জুলুকে মূলতঃ ৭০০-৮০০ মানুষের বাস।


সিল্করুটের অন্যতম আকর্ষণ এই গ্রামে আর্মির ক্যাম্পও রয়েছে। এখান থেকে চীন সীমান্ত বেশি দূরে নয়, শীতে জুলুকের সাদা বরফাবৃ রাস্তাতেও অতন্দ্র প্রহরীর মতো দেখা মিলবে ইন্ডিয়ান আর্মির। এখানে বেশ কয়েকটি হোমস্টে গড়ে উঠেছে। একদম বেসিক এ্যামেনিটিস সমৃদ্ধ ছোট ছোট হোমস্টে গুলিতে জুলুকের প্রবল ঠান্ডাতেও মিলবে আতিথিয়তার উষ্ণ আঁচ।


শীতে এই অঞ্চল যেন বরফের চাদরে মুড়ে যায়, যারা বরফ দেখতে ভালোবাসেন বা স্নোফল দেখতে চান, শীতে আসতেই পারেন। তবে প্রবল ঠান্ডা থাকে এই সময়, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে চলে যায়। মূলতঃ এপ্রিল-মে মাসে এখানে টুরিস্টের ঢল নামে।

জুলুক সম্পর্কে নতুন করে লিখবার সত্যিই কিছু নেই। চীন তিব্বত অধিগ্রহণ করার আগেও, ভারত ও তিব্বতের মাঝে জেলেপ-লা- পাস হয়ে এই পথেই চলতো রেশমের আনাগোনা। বিখ্যাত সেই 'জিগজ্যাগ রোড' আজ টুরিস্টদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া বার্ড ওয়াচার বা ওয়াইল্ড লাইফ যারা ভালোবাসেন তাদের জন্যও জুলুক বা প্যাঙ্গোলাখা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্কচুয়ারী এই আদর্শ ডেস্টিনেশন।

হিমালয়ান ডগ, কস্তুরী মৃগ, ফ্লাইং স্কুইরেল, খালিজ পিজেন্ট, স্নো পিজেন্ট, হিমালয়ান মোনালের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র পূর্ব হিমালয়ের এই অংশ। জুলুকের আশেপাশের কোন ভার্জিন জঙ্গলে এদের দেখা মিললে অবাক হবেন না। এছাড়া পদমচেন থেকে জুলুকের মাঝে বিস্মৃত রয়েছে রডোড্রেনডনের সারি, এপ্রিল-মে মাসে ফুলের রঙে যেন রং লেগে যায় পাহাড়ে।









0 comments:
Post a Comment