ইটাচুনা রাজবাড়ি পরিক্রমা
"খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো,বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেবো কিসে?"
এই ছড়া শুনে বড়ো হওয়া আমাদের।আর এই ছড়ার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ইটাচুনা রাজবাড়ির ভিত্তির ইতিহাস।
কোনো বাঙ্গালি বনেদী পরিবারের সম্পত্তি না এই বাড়ি।বর্গী উত্তরসূরী "সাফল্য নারায়ণ কুন্ডু" এই বাড়িটি তৈরি করেন ১৭৬৬ সালে। রাজবাড়ির টানেই একদিন সকালে রওনা হয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে।বুকিং যদিও অনেক আগেই করতে হয়,নাহলে ফাঁকা পাওয়া মুসকিল।কলকাতা থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই প্রথমে হাইওয়ে ও পরে গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তা দিয়ে পৌঁছে গেলাম হুগলি জেলার খন্যান নিকটবর্তী এই বাড়িতে।আগে যা ছিল কাছাড়ি বাড়ি সেটাই বর্তমান ম্যানেজারের রুম।সেখানে প্রথমে দেখা দিয়ে ম্যানেজার সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করলো ঠাকুরদালান পেরিয়ে অন্দরমহলে।
পাথরের গ্লাসে গন্ধ রাজের সরবত দিয়ে অভিবাদন জানানো হলো রাজবাড়ির পক্ষ থেকে।পথের ক্লান্তির পর যেন অমৃতের স্বাদ পেলাম।তারপর দোতলায় নিজের ঘরে (' বড়ো বৌদির ঘর ') যাবার পালা।
প্রতিটি ঘরই সাবেকি পালঙ্ক ও আসবাব দিয়ে ভরপুর।যদিও শহুরে মানুষের কথা মাথায় রেখে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র পরে লাগানো হয়েছে।পালঙ্কে শুয়ে এটাই মনে হবে "মেজাজ টাই তো আসল রাজা....."
বিশাল পরিধির এই বাড়িতে আছে বাহিরমহল, অন্দরমহল,কাছাড়ি বাড়ি, ঠাকুর দালান,নাচ ঘর,রান্না ঘর,অতিথিশালা,খিড়কি পুকুর ও পিছনে খামার বাড়ি।নাট মন্দিরে শ্রীধর জিহুর পুজো হয় দিনে তিনবার নিষ্ঠা সহকারে কুলোপুরহিত দ্বারা।সাথে রয়েছে রাজকীয় খাওয়া দাওয়া।
বাড়িতে বসেই জানা অজানা গল্পের সাথে রাজবাড়ির অনাচকানাচ ঘুরে দেখতে,পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস,পথ নির্দেশ,কিভাবে বুকিং করবেন,থাকা খাওয়ার খরচ সম্পর্কে জানতে নিচের ভিডিও লিঙ্কটি দেখার অনুরোধ রইল









0 comments:
Post a Comment