• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Friday, December 31, 2021

ইস্কন মন্দির, মায়াপুর, নদীয়া - MAYAPUR ISKCON, Nadia

 MAYAPUR ISKCON

বছরের প্রায় শেষে ঘুরে এলাম সবচেয়ে কম খরচে মায়াপুরধাম থেকে। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নবদ্বীপ মায়াপুরের উদ্দেশ্যে। 

সকাল ৭.৫৫ তে শিয়ালদহ-লালগোলা ধরে চলে গেলাম কৃষ্ণনগর সিটি জংশন। সেখান থেকে অটো করে চলে গেলাম হুলোরঘাট। নৌকায় পাড় হলেই মায়াপুর। ঘাট থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথ ইস্কন মন্দির।

আমি গিয়েছিলাম ৩০শে ডিসেম্বর ২০২১। লোকজন বেশ ভালোই ছিলো সেদিন। প্রথমেই গদাভবনের ভোগের কুপন কেটে নিয়েছিলাম তারপর সারাদিন ঘুরলাম। শ্রী প্রভুপাদ মন্দির, চন্দ্রোদয় মন্দির, গোশালা ঘুরে দুপুর ২টো নাগাদ গদাভবনে ভোগ গ্রহণ করলাম। পাতে ছিল পোলাও, বেগুনি, সাদাভাত, ডাল, রুটি, আলুর তরকারি, পনিরের একটা তরকারী, চাটনি এবং পায়েস। খুব সুন্দর খাওয়া দাওয়া একদম ঘরোয়া।

এখানে একটি থিয়েটার আছে(মায়াপুর ফুলডোম থিয়েটার), এখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপর হিন্দি, বাংলা এবং ইংরেজিতে একটি 3D শো হয়।

মায়াপুর ইস্কন থেকে বেলা ৩ টের দিকে বেরিয়ে এসেছি এবং কৃষ্ণনগর জংশন থেকে 4.20 দিকে একটা ট্রেন ধরে শিয়ালদহের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম যেটা সন্ধ্যার সময় চলে এসেছে।

এক দিনের এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুব ভালো এবং খুব সুন্দরভাবে যাত্রা করেছিলাম।

যারা ১দিনের ভ্রমণ করতে যান এই উপায়ে যেতে পারেন এবং খরচ খুবই কম।












মায়াপুর কিভাবে কম খরচে ঘুরবেন আর এই একদিনের ভ্রমণের সম্পূর্ণ ভিডিও বানিয়েছি আপনারা চাইলে দেখতে পারেন তাহলে আরও তথ্য পাবেন। ভিডিও এই লিঙ্কে দেওয়া আছে 👇

https://youtu.be/NqcwAsr_Be4

Mridul Roy


Sunday, November 14, 2021

দক্ষিণবঙ্গের গভীরতম জঙ্গল এবং তালবেড়িয়া বাঁধ ( বাঁকুড়া) - Dense forest of South Bengal and Talberia Dam(Bankura)

 সত‍্যি বলতে বেশ অবাক হয়েছিলাম যখন জানতে পেরেছিলাম দক্ষিণবঙ্গের গভীরতম জঙ্গল আমার বাড়ি ঝাড়গ্রাম থেকে এতটা কাছে। বাঁকুড়া জেলার ঝিলিমিলির সুতানের জঙ্গলের কথা বলা হচ্ছে এখানে। ঝিলিমিলির বারোমাইলের জঙ্গলের একটা অংশ এই সুতানের জঙ্গল। ঝিলিমিলি-রাণীবাঁধ রোড এই বারোমাইলের জঙ্গলকে দ্বিধাবিভক্ত করে চলে গেছে। এ রাস্তার একদিকে পাহাড় আর আরেক দিকে বিস্তৃত আর গভীর খাদ। মোম-মসৃণ রাস্তা সাপের মতন এঁকেবেঁকে ওপর-নীচে ঢেউ খেলে নিজের ঠিকানায় চলে গেছে। এই রাস্তায় পাওয়া যাবে তিনটি ভিউ-পয়েন্ট যা থেকে নয়নাভিরাম চান্ডিল-দলমা রেঞ্জের সূত্রপাত আমরা চাক্ষুষ করতে পারি।






এইবারে আসি সুতানের কথায়। এই রোড ছেড়ে আপনি যখন সুতানের দিকে বাঁক নিচ্ছেন, ঠিক তখনই আপনি এক আলাদা জগতে পৌঁছে যাচ্ছেন। পাথুরে রাস্তা, একধারে খাদ, প‍্যাঁচানো রাস্তা, প্রাচীন গাছপালা, আর অফ-রোডিং অভিজ্ঞতা - সব পাবেন। ভাগ‍্য সহায় হলে ময়ূর দম্পতিদের দেখা পেতে পারেন। তারা হয়তো ভাববে, প্লাস্টিক ছড়াতে আর পরিবেশ দূষণ করতে আবার কে এলো!!! কিন্তু আপনি সেসব কিছু না করে ওদের অবাক করে দেবেন।





সুতানের জঙ্গলে জঙ্গলে কিছুক্ষণ ঘুরলেই আপনার মনের নাগরিক প‍্যাঁচ আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করবে। বিরাট বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে ছড়ানো বিশুদ্ধ বনভূমি দিয়ে যেতে যেতে মাঝে মধ্যে দু-একটা পাথুরে পথ ডানদিকে বা বামদিকে চলে যায় কোনও একটা জঙ্গলঘেরা গ্রামের দিকে। জঙ্গলে ঘুরেই কাটিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু আমাদের সাধারণ প্রবণতা থাকে কোথাও যাওয়া মানে একটা গন্তব‍্য বা স্পট থাকতে হবে। রাস্তা উপভোগ করতে আমরা ভুলে যাই। সুতানের রাস্তাই যেন এর প্রধান আকর্ষণ। কিন্তু এখানেও একটা স্পট রয়েছে। একদম সুতান গ্রামের সামনেই রয়েছে পরিত‍্যক্ত C.R.P.F ক‍্যাম্প এবং ওয়াচ-টাওয়ারটি। বিগত কঠিন সময়ের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে আছে এই অবশেষগুলি। সাধারণত এই ওয়াচ-টাওয়ারটির ছবি দেখলেই বোঝা যায় যে ছবিটি সুতানের ছবি। একটা ফাঁকা জায়গায় এই ক‍্যাম্প আর টাওয়ার। এগুলো ছাড়াও সেখানে নতুন একটি ওয়াচ-টাওয়ার বানানো হয়েছে আর ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের একটা গেস্ট হাউসও রয়েছে। এখনও চালু হয়েছে কিনা সঠিক জানা নেই। পিকনিক করার জন্য রয়েছে দুটো-তিনটে মতন বেদি। এছাড়াও পেছনে রয়েছে একটি বিল‍। যার পরিচয় সেরকম কোথাও পাইনি। কিন্তু বেশ একটা রেন-ফরেস্ট রকমের ব‍্যাপার আছে।



এরসাথে বোনাস হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন তালবেড়িয়া বাঁধের মতন সুন্দর একটি জলাশয়ে সময় কাটানোর সুযোগ। বাঁধের পাঁচিলের মাঝামাঝি জায়গা থেকে একটি সিমেন্টের তৈরী মঞ্চ আপনাকে বাঁধের কিছুটা ভেতর অবধি নিয়ে যাবে। ফলস্বরূপ, সেই মঞ্চে থাকলে আপনার তিনদিকেই দেখবেন জল। জঙ্গলঘেরা সকল জলাশয়ই মন কেড়ে নেয়। তালবেড়িয়াও তার ব‍্যতিক্রম না।



মোট কথা, কোলকাতা থেকে এলেও একদিনের ঘোরার জন্য অসাধারণ। আর যাঁদের একদিনে ঘোরা হবে না, তাঁদের থাকার জন্য এই অঞ্চলে সবচেয়ে দারুণ জায়গা হলো ঝিলিমিলির রিমিল লজ। এই সংক্রান্ত পোস্ট পেজে আগে করা হয়েছে, সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

আর এই জায়গাটি যেহেতু নতুন নয়, এর আগে বহু মানুষ এখানে গেছেন আর ফেসবুকেও অনেক লেখালেখি হয়েছে তাই এর গুগল ম‍্যাপ লিঙ্ক দেওয়া হলো।

গুগল ম‍্যাপ লিঙ্ক:

১) সুতান:- Sutan Forest Camp

Ranibandh - Barikul Road, Sutan, West Bengal 722148

https://maps.app.goo.gl/g7UcA69ctGeXBRnD9

২) তালবেড়িয়া:- Talberiya Dam

Talberiya Road, Rautara, West Bengal 722148

https://goo.gl/maps/jkBMhxfUeh5QMUUU7



ছবি ও লেখা: Sandipan Das

Saturday, October 16, 2021

বকখালি, (দক্ষিণ 24 পরগনা) - Bakkhali(South 24 Parganas)

 আমি Maximum time e Bike নিয়ে Tour করি, বকখালি টা এত দিন bridge এর জন্য bike যেতে পারিনি এখন চালু হয়ে গেছে তাই ঘুরে এলাম, এই গরমে হালকা বৃষ্টি তে বেশ ভালোই লাগলো.

সকাল এ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছিলো তাই সকাল 6AM এ bari থেকে বের হলাম, রাস্তা টা অচেনা আর বৃষ্টির জন্য পৌঁছাতে একটু দেরি হয়ে গেলো,Rasty কয়েকবার চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে, Direct Namkhana Bridge.. এর উপর daralam উপর থেকে দারুণ ভিউ, Picture নিচে দেওয়া আছে.
Tarpor ওখান থেকে 24 KM, 11.30 e Hotel E ঢুকলাম maximum Hotel এ Room ছিল না Weekends বলে. NARAYANI LODGE এ উঠলাম আগেও অনেকবার এই হোটেল এ ছিলাম. বলাকা ও খুব ভালো Lodge,
পুরো এরিয়া খুব ঘুরলাম, Henry Island, Benfish, , অনেক জায়গা বেশ ভালো লাগলো.
আমি অনেকবার গিয়েছি, আগের থেকে ভিড় টা অনেকটা বেড়েছে,
Communication ও অনেক ভালো অনেক Govt Bus Kolkata theke চলাচল করে.
DIGHA তে যেখানে হোটেল ভাড়া 2000 টাকা
সেখানে বকখালি তে 2000 টাকা তে পুরো ট্যুর complete হয়ে যাবে. 70 টাকায় মাছভাত এর meal পাওয়া যায় ভালো.
সমুদ্রে স্নান করা টা একটু Difficult জোয়ার এর টাইমে সমুদ্রে যেতে না পারলে. 1km হেঁটে যেতে হবে ঢেউ এ পা দিতে. Monsoon এ একটু ভালো থাকে. দিঘা এর মতো ঢেউ এখানে নেই. সন্ধ্যা বেলা ও সমুদ্র অনেক দূরে থাকে এটাই একমাত্র খারাপ লাগে এই Beach এ.
এখানে Beach e রকমারি মাছ ভাজা, ফুচকা অনেক খাবার পাওয়া যায়. বাজার থেকে মাছ কিনে এনে ভাজিযে় খাওয়া যায়, আমরা ও ও 4-5 রকমের মাছ ভাজা খেলাম একদম টাটকা.
রাতে ডিনার করে.. পরের দিন সকাল এ breakfast করে back to home. Simple And Wonderful Tour.
যাতায়াত :SEALDAH থেকে ট্রেন এ Namkhana Tarpor bus, auto, Toto, ইঞ্জিন ভ্যান e.
HOWRAH, Dharmatala থেকে bus আছে অনেক.
***নিচে কিছু ছবি দিলাম..

                                                               Hatania Doyania Bridge

                                                                     Benfish Port    
                                                                    Henry Island   
                                                                         Benfish Port
                                                                        Frasergunj    
                                           Henry Island  
                                                                        Henry Island
                                                                Bakkhali Beach    
                                                    View from Hatania Doyania Bridge    
                                                               Bakkhali Beach        
                                                        Way towards Henry Island                  


Animesh Chakrobarty

Thursday, September 9, 2021

কাঁচের ট্রেনে ডুয়ার্সের পথে - Towards Dooars in VISTADOME train

 প্রতিটি ভারতীয় অহংকার এই ভারতীয় Railway | বাবার হাত ধরে যখন খুব ছোটবেলায় প্রথমবার ট্রেনে চেপে দার্জিলিং গেছিলাম সেদিনই যেন ট্রেনের সাথে আমার একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছিলো |



সেদিনের গল্পটা হয়তো আমি কোনদিনই তোমাদের সাথে Share করতে পারব না কিন্তু আজ ভারতীয় রেলের আরেকটা দারুন উপহার পশ্চিমবঙ্গের প্রথম VISTADOME train এ চাপার অনুভূতি আর ট্রেনে বড় বড় কাঁচের জানলা দিয়ে ডুয়ার্সের অপরূপ প্রকৃতির উজাড় করা সৌন্দর্যতা আর জলঢাকা তিস্তা মূর্তির মত নদীর জলের মতো আমার মনের সব প্রবাহমান অনুভূতি গুলো share করবো তোমাদের সাথে |




এই ট্রেন এ থাকবে

--------------------------------------
দুটো AC চেয়ার কার ভাড়া 310/-
দুটো Non AC চেয়ার কার 85/-
একটি Vistadome কোচ 770/-
এই ট্রেন এ প্যান্ট্রিকার আছে (PAID)
বুকিং করতে হবে IRCTC ওয়েবসাইট কিংবা App থেকে
or
এই সংক্রান্ত একটি video আমার channel (The BongXplorer) এ আছে, ভালো লাগলে অবশ্যই দেখবেন |||||




**Vista Dome coach is newly introduced coach to West Bengal by Indian railways. It runs between NJP to Alipurduar Junction (APDJ) on every Friday, Saturday and Sunday. The newly introduced train number is 05777.


Saikat Banerjee

Wednesday, August 11, 2021

ম্যাকলস্কিগঞ্জ, ভারতের মিনি লন্ডন - McCluskieganj, Jharkhand

 ছোটবেলায় ঋজুদার সাথে ও কৈশোরে বুদ্ধদেব গুহর সাথে বার বার করে ঘোরা -ম্যাকলস্কিগঞ্জ।উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে থাকা 'পালামৌএর পথে'তো অনেকেরই পড়া।

যেখানে নির্জন রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে কান পাতলে এখনো মনে হয় খোঁড়া প্যাটের ক্র্যচের শব্দ বা শাল মহুয়ার জঙ্গলে দাঁড়িয়ে মনে হয় ওইদূরে কোন সাহেব ঘোড়ায় চড়ে বন্দুক কাঁধে শিকারে চলেছে টগবগিয়ে।বড়ই প্রাণের জায়গা-এখানে প্রকৃতি যেন কথা বলে নিজের ছন্দে।রুক্ষ্ম ল্যাটেরাইট মাটির নালিক্ষয়সহ প্রকৃতির বুকে সবুজের সমারোহ।সাথে ছোট ছোট নদী ও পাহাড়।এই রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে সাথে খনিজ সম্পদের টানে ম্যাকলস্কি সাহেব রাঁচির রাতুর রাজার থেকে,রাঁচি থেকে 67কিমি দূরে দশ হাজার একর জমি লিজ নিয়েছিলেন এবং প্রায় তিনশো আংলো ইন্ডিয়ান পরিবারকে নিয়ে এখানে আংলো ইন্ডিয়ান জনপদ গড়ে তুলেছিলেন।যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কর্মবিমুখ ইংরেজ আর এখানে থাকেনি।তাদের আস্তানা বিক্রি করে যে যার দেশে পাড়ি দেন।কিছু আংলো পরিবার থেকে যায় জায়গাটিকে ভালোবেসে আর কিছু বাঙালিবাবু এখানে কিছু বাংলো কিনে নেয়।আগের বার স্টেশনে গিয়ে ফলবিক্রেতা কিটি ম্যামের সাথে দেখা হয়েছিল,এখন তিনি অসুস্থ শুনলাম।আগের বার অপর্না সেনের বাড়ি এখানে দেখে গিয়েছিলাম,এবার শুনলাম সেটা বিক্রি হয়ে গেছে।এখনও পথের ধারে জীর্ণ বাংলোগুলোর সামনে দাঁড়ালে মনে হয় এখানে কতো আলো ঝলমলে পরিবেশ ছিল একসময়,কান পাতলে যেন শোনা যাবে কোন ব্রিটিশ রমণীর পিয়ানোর শব্দে আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছে।



                                                                    ডোগাডুগি নদী

আমরা ছিলাম শহরের একপ্রান্তে শালবনে ঘেরা রানা'জ কান্ট্রি কটেজে।রানা দম্পতি নেপাল রাজপরিবারের মানুষ।মি:রাণার বাবা কর্নেল ছিলেন,চাকরির সুবাদে এখানে থাকতে এসে জায়গাটাকে ভালবেসে এখানেই থেকে গিয়েছেন।তাদের আন্তরিক ব্যবহার মুগ্ধ করার মতই।মিসেস রানা বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারেন।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ,সুসজ্জিত কটেজের পরিবেশ মুগ্ধ করবেই।আগের বার জর্ডনে ছিলাম।কিন্তু ম্যাকলস্কিগঞ্জে রাণা'জ কটেজ বেস্ট বলতে পারি।সাথে কর্মীদের সুন্দর ব্যবহার।খাবারের কথা যতো বলবো ততটাই কম বলা হবে।আমার মতো পেটুকরা শুধু খেতেই এখানে বারবার আসতে পারেন।



আমরা 6জন কলিগ সাথে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে দোলের আগের দিন হাওড়া রাঁচি স্পেশ্যাল ট্রেনে রাত দশটা দশে রওনা দিয়ে পরেরদিন ভোর পাঁচটা চল্লিশে রাঁচি পৌঁছই।কটেজ থেকে দুটো বোলেরো গাড়ি এসে স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল।আমরা ম্যাকলস্কিগঞ্জ পৌঁছে যাই সকাল সাড়ে সাতটায়,তবে বেলা সাড়ে নটার পর লু বইবে,বাইরে বেরোনো যাবে না কোনোভাবেই।আমরা তাই দুটো অটো বুক করে বেরিয়েছিলাম বিকেল সাড়ে তিনটের পর ।বেরিয়ে দেখে নিলাম বসন্তে শুকিয়ে যাওয়া ডোগাডুগি ও চাট্টি নদী,দুপাশে শালবন চিড়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলের রোদে প্রাণ জুরিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক শোভা-'জাগৃতি বিহার' ।দেখতে দেখতে হারিয়ে গিয়েছিলাম সত্যি।বসন্তে প্রকৃতি এখানে তার রঙ্গিন রূপে নিজেকে সাজিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।সেই শোভা মন ক্যামেরায় বন্দী করে রেখেছি,যতোই ক্যামেরা বন্দী থাকুক হৃদয়ের ক্যামেরা তখন পরিপূর্ণ।



পলাশ,শাল,পিয়াল,মহুয়া,কৃষ্ণচূড়া সহ আরো নাম না জানা ফুল পথের ধারে অতি অনাদরেও নিজেদের সাজিয়ে তুলেছে।সাথে দুল্লি গ্রামে সর্ব ধর্ম সমন্বয় দেখলাম।মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বার পাশাপাশি অবস্থান করছে।বর্তমান সমাজ যখন পরস্পরের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে ,দলাদলি চলছে,সেই পরিস্থিতিতে এখানে দাঁড়িয়ে মন শ্রদ্ধায় ভরে গেলো।এরপর সেই হেরিটেজ স্টেশন,হলুদের ওপর কালো দিয়ে লেখা-Mccluskiegunj।দাঁড়াতেই নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।প্যাটের সেই কথা মনে পড়ে গেল
"যেসব লোক অন্যের করুণার উপর ভর করে বাঁচে, তারা দশটা পা থাকলেও চলতে পারে না। আই অ্যাম হ্যাপি দ্যাট আই ক্যান ম্যানেজ উইদাউট এনিবডি'জ হেল্প।"

                                                                            নতুন চার্চ


স্টেশনে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর কটেজে ফিরলাম।পরের দিন ঝাড়খণ্ডে হোলির জন্য কোথাও বেড়ানো যাবে না,তাতে কি?আমাদের কটেজটাই তো অসাধারণ একটা স্পট।ভোরবেলা 'চোখ গেলো'পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে শাল বনের সামনে দাঁড়িয়ে বুদ্ধদেব গুহর বিখ্যাত লাইন মনে পড়ে গেল 'একটু উষ্ণতার জন্য’র সেই বিখ্যাত ভাষ্য-
“এই জায়গাটায় সকাল হয় না, সকাল আসে। অনেক শিশিরঝরানো ঘাসে ভেজা পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে, অনেক শঙ্খিনী নদী পেরিয়ে সোনা-গলানো পোশাক পরে সকাল আসে এখানে।”



সাথে বসন্ত বৈরী,কোকিল আরও নাম না জানা শত শত পাখির ডাক।এরপর সারাদিন আমরাও হোলির রঙে মেতে উঠলাম।বাচ্চারা কটেজের চারটি জার্মান শেফার্ডের সাথে সখ্যতা করে নিলো।পরদিন ব্রেকফাস্ট করে বিদায় জানালাম সাধের ম্যাকলস্কিগঞ্জকে।ফেরার সময় দুপুর পৌনে দুটোর রাঁচি-হাওড়া শতাব্দীতে হাওড়া পৌঁছেছি রাত সোয়া নটায়।
হোটেলে আমরা 6বেডরুম ঘর নিয়েছিলাম,যদিও দুজন ছোটসহ আমরা আটজন ছিলাম।6/7তিনটে খাটে কোন অসুবিধা হয়নি।ঘরে এসি না থাকলেও ফ্যান চালালে চাদর গায়ে দিতে হয়েছে দুপুরেও।যেখানে বাইরে তখন লু বইছে।আর রাতে ফ্যান বন্ধ করে চাদর মুড়ি দিয়ে শুতে হবে।যার ভাড়া 3000/প্রতিদিন আর খেতে লেগেছে 700দিন/জনপ্রতি।খাবারে কি না ছিল...ব্রেকফাস্টে আলু পরোটা,টক দই,ছোলার ঘুগনি,লাঞ্চে একদিন চিকেন,একদিন মাছ সাথে ডাল,ভাজা,সব্জি,চাটনি হোলির দিন মিষ্টিও ছিল।আর সন্ধ্যেবেলা চিকেন পকোড়া ও রাতে একদিন চিকেন,ফ্রায়েড রাইস ও একদিন মটন ও রাইস দিয়েছে।আমরা দুটো বোলেরো গাড়ি নিয়েছিলাম যাতায়াতের জন্য,কারণ রাঁচিতে 7সিটার গাড়িতে 6জনের বেশি ওঠার অনুমতি নেই।একেক পিঠের ভাড়া প্রতি গাড়ি পিছু 2100/(with AC)।সমস্ত ছবির সাথে ক্যাপশন দেওয়া রইলো।



                                                                রানা'জ কন্ট্রি কটেজ


নিচে প্রযোজনীয় কিছু তথ্য দিলাম:-
রানা'জ কন্ট্রি কটেজ:-
ম্যানেজার ইউসুফ (যাকে মুশকিল আসান বলা যায়,যখন যা চেয়েছি সঙ্গে সঙ্গে হাজির)-9534034936
বোলেরো ড্রাইভার আলম-9534122772
অটো ড্রাইভার সাদ্দাম-7667935225

Suneeta Saha

Monday, July 5, 2021

নেতারহাট, পাত্রাতু, বেতলা(ঝাড়খন্ড) - Netarhat, Patratu and Betla(Jharkhand)

 কথায় আছে বাঙালির পায়ের তলায় নাকি সর্ষে, এটা সত্যি হলে আমার পায়ের তলায় তবে কাঁচের গুলি, তা নাহলে covid থেকে সুস্থ হয়েছি 14দিনও হয়নি এর মধ্যে bike করে মাইথন, হাজারীবাগ, পাত্রাতু,নেতারহাট,লোধ ওয়াটার ফলস, বেতলা, কান্তি ওয়াটার ফলস, পুরুলিয়া, আর শেষ পাতে মিষ্টির মতো ফেরার সময় ইটাচুনা রাজবাড়ী সব একসাথে(1580km)দেখার plan করতে পারি!যাইহোক নিজের কথা তো হলো এবার আসি সংক্ষেপে জায়গা গুলির কথায়, আর নড়বড়ে হাতের ও কম দামি মোবাইলে তোলা কিছু ছবি দিয়ে।


                                                                       পাত্রাতু ড্যাম
কেচকি সঙ্গম

মাইথন, পুরুলিয়া নিয়ে কিছুই বললাম না, আমরা প্রথমে যাই হাজারীবাগ(অশোকনগর থেকে 390km)এখানে দেখার বিশেষ কিছুই নেই ভালো weather,বড় market, একটা ছোটো পাহাড়, ঝিল, দুটো পার্ক আছে.. হোটেল rent বেশ কম।


                                                                      
মীরচাইয়া ফলস
                                                        Upper Ghagri Falls


                                                                                লোধ

ওখান থেকে আমরা ছবির মতো সুন্দর পাত্রাতু dam আর পাত্রাতু ভ্যালি তে যাই(83km)দুটোই খুব ভালো লাগবে,সময় নিয়ে যাবেন dam এ নৌকা বিহার অবশ্যই করবেন।

Next নেতারহাট(170km)এখানে বেশ কয়েকটা স্পট আছে তাই একদিন অব্যশই থাকবেন, দেখার জায়গা গুলো serially দিচ্ছি ও আমার চোখে যেমন লেগেছে পাশে star mark দিয়ে রাখছি প্রথম যারা যাবেন সুবিধা হবে, আর হ্যা এখানে গেলে অব্যশই ঝাড়খন্ড govt এর প্রভাত বিহার এ থাকবেন কারণ sunrise দেখতে হলে হোটেলের রুম থেকেই চা হাতে নিয়ে দেখতে পাবেন এছাড়াও হোটেল টি অসাধারণ room rent শুরু হয় 2200/- থেকে,suite room, tent(tent এর rent 2351/-দুজন, 3300/-চার জন)সবই পাবেন..সিজন এ গেলে online book করে যাবেন।

                                                                পাইনের সারি নেতারহাট

                                                                         পাত্রাতু ভ্যালি

1.প্রভাত বিহার(sunrise point)****
2.ফরেস্ট বাংলো(লাকড়ি ঘর)***
3.কোয়েল ভিউ পয়েন্ট*****
4.নাসপাতি বাগান(নাসপাতি গাছে থাকা অবস্থায় গেলেই শুধু ভালো লাগবে, july-sep)
5.আপার ঘাগড়ী ফলস***
6.লোয়ার ঘাগড়ী ফলস(আমরা যায়নি, শুনলাম নির্জন রাস্তা আর বেশ দূর)
7.নেতারহাট স্কুল/পিকনিক স্পট***
8.সালেট হাউস(কাঠের ঘর)***
9.নেতারহাট লেক**
10.sunset point****(এখানে পাকোড়া অবশ্যই খাবেন, চেষ্টা করবেন বিকেলে নেতারহাট পৌঁছে আগে এটা দেখে নেওয়ার তবে একদিন নষ্ট হবেনা)
এখান থেকে লোধ ওয়াটার ফলস(65km)বেশ ভালো লাগার জায়গা।

Kanti Water Fall

                                                Jharkhand govt hotel,Netarhat

দুপুরের মধ্যে এখান থেকে বেরিয়ে বেতলার উদ্দেশে রওনা দিলাম পথে যাওয়ার সময় আরো তিনটে spot পেয়েছি সব কটাই ভালো 1.Sugga bandh water fall,2.Kechki sangam, 3.Mirchaiya water fall
বেতালা রাতে থেকে সকালে সাফারি(এই মুহূর্তে সাফারিবন্ধ আছে)করে বেরিয়ে পড়ুন এখানে আর বিশেষ কিছু দেখার নেই, হোটেল ও বেশ কম(7-8),পালামু ফোর্ট দেখতে পারেন।
ফেরার পথে মেখলিগঞ্জ, হুড্রু ফলস দেখে রাঁচি আসতে পারেন(আমাদের হাতে সময় ছিলোনা বলে যায়নি).. ট্রেনে করে গেলে রাঁচি থেকে গাড়ি ভাড়া করে সব spot cover করা যায় সবাই তাই করে,রাঁচি তে Dassam falls, Jonha falls, Sifa falls এগুলো দেখতে পারেন(রাঁচি থেকে নেতারহাট 156km)।

                                                               পালামু ফোর্ট বেতলা

ঝাড়খন্ড এ ধূমপান নিষেধ আর হ্যা শাল পাতায় খেতে দেবে ভালো লাগবে.. যেখানে সেখানে plastic আর খাবার packet ফেলে আসবেন না, পরিবেশ সুন্দর থাকলেই আমরা ভালো থাকবো আমাদের এই group টাও ভালো থাকবে.. ধন্যবাদ


Mridul Saha