কমলালেবুর গ্রাম সিটং। শীতে কমলালেবুর মরশুমে যখন কমলালেবু হয়, গোটা গ্রামটি যেন কমলা রং ধারণ করে। পাহাড়ী পথের আঁকে-বাঁকে যারা পাঁয়ে হেঁটে ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের জন্য অসাধারণ একটি গন্তব্য হতে পারে সিটং।

রিয়াং নদীর ধারে বসে অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা উপলব্ধি করতে করতে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন মনের কোনো অজানা আস্তানায়। পথের ধারে কমলালেবুর বাগান আর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রিয়াং নদীর সাথে পা মিলিয়ে আপনি চলতেই পারেন কোন নাম না জানা পথে।
সিটং এ করার তেমন কিছু নেই, প্রকৃতিকে উপভোগ করা ছাড়া। তবে নেচার ওয়াক, বার্ডিং, ফিসিং এবং জনকোলাহল থেকে লুকিয়ে প্রকৃতির খুব কাছে থাকা যায় সিটং এ। এছাড়া যারা পাখি ভালোবাসেন তাদের জন্য এক দারুণ আস্তানা এই সিটং। সিটং এ দেখা পেয়ে যাবেন হর্ণবিল বা ধনেশ পাখির।সিটং লাটপাঞ্চার এইসব অঞ্চলে এদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। আর আপনি যদি কমলালেবু ভালোবাসেন তবে যত খুশি কমলালেবু খেতে পারেন। হিমালয়ান পাখি এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলবে সিটং এ। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে সিটং এ ভালোই লাগবে।
দর্শনীয় স্থান: মাত্র ২০ কিমি দূরেই মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ী ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়া লাটপাঞ্চার, অহলডারা, নামথিং পোখরি লেক, শেল্ফু হিলস ও ঘুরে আসুন গাড়ী ভাড়া করে। নামথিং পোখরি লেকে দেখা মিলবে পৃথিবীর প্রাচীন জীবগুলির মধ্যে অন্যতম স্যালামেন্ডারের। দিলারাম, বাগোরা, চটকপুরের মতো গ্রাম গুলিও কাছেই। চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন।
সিটং এ কমলালেবু দেখার সেরা সময় নভেম্বর থেকে জানুয়ারী। গাছে গাছে কমলালেবু গোটা গ্রামটাকেই কমলা করে রাখে। মাত্র ৪০০০ ফুট উচ্চতায় হওয়ায় ঠান্ডার তীব্রতাও খুব বেশি নয়।
















0 comments:
Post a Comment