• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Thursday, March 26, 2020

রিলিং, দার্জিলিং - Relling Village Darjeeling

 দার্জিলিং জেলার পূর্বে ছোট্ট একটি পাহাড়ী গ্রাম রিলিং। নেপালী ভাষাভাষী মানুষের বাস এই গ্রামে। ঘুম থেকে নীচে উপত্যকা বরাবর ২২ কিমি দূরে রিলি্ং গ্রামের অবস্থান। উচ্চতা ২৫০০ ফিট। পাহাড়ি উপত্যকার অপরুপ সৌন্দয্য এছাড়া পাহাড়ী আঁকা বাঁকা পথে হারিয়ে যেতে চাইলে চলে আসুন রিলিং।

ঘুম থেকে আসবার পথে দেখা মিলবে ছোট বড় অনেকগুলি চা বাগানের। পথে দাঁড়িয়ে সেল্ফি ও তুলে নিতে পারেন। মেরিবং, রিশিহাট, চংটং প্রভৃতি চা বাগান গুলি রিলিং যাওয়ার রাস্তাতেই মিলবে।

এছাড়া হিমা ফলস্, বিশ্বম্ভর রক তো আজকের দিনে হিমালয়ান ট্রাভেলারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় দর্শনীয় জায়গা। খুব কাছেই পুলবাজার হাট। এই অঞ্চলের সব্জি এবং ফার্মের পশু বিক্রির জায়গা। দার্জিলিং জেলার সবচেয়ে পুরনো বাজার ও এই পুলবাজার।

এখান থেকে চমৎকার ভিউ পাওয়া যায় দার্জিলিং শহরের। রাতে সেই সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। সিঙ্গালিলা থেকে ট্রেক করেও রিলিং আসা যায়। ফলে যারা সান্দাকফু ট্রেক করতে আসেন তারাও আসতে পারেন এখানে।

পাশ দিয়ে বয়ে চলা রঙ্গীত নদী অসাধারণ সুন্দর এক সিনারি এঁকেছে যেন। এই নদীর পাড় বরাবার অরেঞ্জ, অ্যাপেল প্রভৃতি গার্ডেন রয়েছে অনেকগুলি। এক কথায় বিজনবাড়ী শিল্পীর তুলিতে আঁকা এক চিত্রপট যেন। পাশ দিয়ে রঙ্গীতের বয়ে চলার শব্দ আর পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে যায় এখানে।

শহুরে আতিশয্য মিলবে না রিলিংয়ে। তবে এই হোমস্টে, দার্জিলিং এর কোলাহল থেকে দূরে যারা কয়েকটা শান্তিতে কাটাতে চান তাদের জন্য আদর্শ হতে পারে এই নদীর ধারে তৈরী আস্তানা। সঙ্গে পেয়ে যাবেন অসাধারন আতিথিয়তা এবং সম্পূর্ণ অর্গানিক ফুড। দুটো দিন প্রকৃতির কাছে কাটিয়ে যান রোজকার নাগরিক ক্লান্তি দূর করতে।


আশেপাশে দেখার জায়গা অনেক। দার্জিলিং, ঘুম, কার্শিয়াং সব ঘুরে আসা যায়। এছাড়া বাতাসিয়া লুপ, জাপানিজ টেম্পল, জু, হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেট সব একদিনে ঘোরা যায়।


নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দূরত্ব- ৯৫ কিমি
গাড়ী ভাড়া- ৩৫০০/- ছোট গাড়ী
৪০০০/- বড় গাড়ী।
হোমস্টে খরচ ১২০০/- জন প্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ। (নূন্যতম দুজন)
06291538880



Himalayan Retreat

Tuesday, March 17, 2020

লাল ঝামেলা বস্তি, জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং Lal Jhamela Basti, Jalpaiguri

 লাল ঝামেলা বস্তি। না না কোনো ঝামেলা করার ইচ্ছা আমার নেই।

এটা একটি জায়গার নাম, ডায়ানা নদীর পাড়ে উত্তরবঙ্গের একটি খুব সুন্দর জায়গা লাল ঝামেলা বস্তি।এটি আবার আমাদের দেশ INDIA এবং BHUTAN এর বর্ডার ও বটে।
যদি হাতে দুদিন সময় থাকে তো খুব ভালো করে ঘুরতে পারবেন এই জায়গা।

আমরা গিয়েছিলাম শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে(দার্জিলিং মেল,10:05 pm) চড়ে NJP RAILWAY STATION । তারপর সেখান থেকে চলে এলাম শিলিগুড়ি'র পি সি মিত্তল বাস স্ট্যান্ড। আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন বৃষ্টির জন্য SAVOK ROAD এ ধ্বস নেমেছিল বলে আমাদের বাস গাজোলডোবা'র রাস্তা ধরে গিয়েছিল।

প্রথম যাওয়া হল নাগরাকাটা ,তারপর সেখান থেকে একটা টোটো করে আমার পৌঁছে গেলাম আমাদের প্রাথমিক গন্তব্য সৌমেন'দার জলঢাকা রিভার রিসর্ট। সব মিলিয়ে NJP থেকে মোটামুটি 2.5 ঘণ্টা সময় লাগে।
আমাদের পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা প্রায় দুটো বেজে গিয়েছিল । তাই সেদিন আর কোথাও যাবার প্ল্যান করলাম না। দুপুরবেলা জলঢাকা নদী থেকে ধরা একদম টাটকা বরোলী মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে পেট পূজো করা হল।

এরপর খাওয়া দাওয়া সেরে একটু রিসর্টের চারপাশটা ঘুরে দেখার পালা। সে এক অদ্ভুত সৌন্দয্যের সংমিশ্রণ ।
🙂👌🏻
একদিকে সারি সারি সবুজ চায়ের বাগান , আরেকদিকে রিসর্টের ঠিক পিছন দিকেই কুলকুল শব্দ করে বয়ে চলেছে জলঢাকা নদী , নদীর পাশে ছোট ছোট পাহার আর একদিকে সমতলভূমি যেখানে চাষ-আবাদের জায়গা , সেখানে দুটো গরু বেধেঁ রাখা রয়েছে। পরন্ত দুপুরের নিঃস্তব্দতার মাঝে গরুর গলার ঘন্টার টুং টুং আওয়াজ আর জলঢাকা নদীর কুলকুল শব্দ পুরো পরিবেশকে দারুন মোহময় করে তোলে☺️ ।এই জলঢাকা নদীর ওপর দিয়ে চলে গেছে একটি রেলব্রীজ । এটা হল শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার রেলপথ । যদিও আমি যখন এই জায়গার ওপর ভিডিও বানাচ্ছিলাম তখন এই রেলব্রীজ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানতাম না। পরে আশেপাশের লোকজনের থেকে জানতে পেরেছিলাম।

এখানেই দেখা হয়েছিল কিছু রাখাল ছেলেদের সাথে , যারা দিনের শেষে তাদের গরু গুলোকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল । ওদের ডেকে নিয়ে বসালাম আমার কাছে,অনেক গল্প হল ওদের সাথে
😎। আমার ভিডিওতে ওদের চাক্ষুস করতে পারবেন😊। পরন্ত বেলায় সূর্যাস্তের আলোয় চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দয্য তখন একদম চরমে🤓
যাই হোক সেই দিন বিশ্রাম নিয়ে পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট করে আমরা রওনা দিলাম আমাদের মূখ্য গন্তব্যস্থল "লাল ঝামেলা বস্তি"।👍

আমাদের গাড়ি ঠিক করে দিয়েছিলেন রিসর্টের owner সৌমেনদাই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
নাগরাকাটা থেকে মোটামুটি 15-20 km এর রাস্তা লাল ঝামেলা বস্তি । গাড়িতে যেতে মোটামুটি আধ ঘন্টা সময় লাগে।
চেংমারি Tea Garden এর চায়ের বাগানকে দুদিকে রেখে যখন আমাদের গাড়ি
সাঁই সাঁই করে মাঝখান দিয়ে ছুটে চল্লো লাল ঝামেলা বস্তি'র দিকে , তখন যে অনুভূতি মনের ভিতর হচ্ছিল তা বলে বোঝানো যাবেনা।😍

অবশেষে আমরা পৌঁছালাম আমাদের বহুকাঙ্খিত জায়গা লাল ঝামেলা বস্তি।😊
মনে হচ্ছিল This is nothing but the Heaven on the earth❤️ । দুদিকে সবুজঘন পাহার , মাঝখানে সমতলভূমি আর সেখান দিয়ে বয়ে চলেছে ডায়ানা নদী। এটা ভেবেও দারুন লাগছিল যে আমি একটা আন্তর্জাতিক সীমানায় দাড়িঁয়ে আছি । যেখানে একদিকে আছে ইন্ডিয়া আর এক দিকে আছে ভূটান। দারুন অনুভূতি।🙂
অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে এবার আমরা ভাবলাম আমাদের ট্রেন তো সেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়, আর তখন বাজে বেলা 12 টা, তো এতক্ষণ আমরা কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না।

তখন আমাদের ড্রাইভার সাহেব আমাদেরকে পরামর্শ দিলো ঝালং আর বিন্দু ঘুরে দেখার জন্য। ব্যস্ আর কি, যেমন ভাবা তেমন কাজ।
চলো ঝালং বিন্দু। 🤓
চাপরামারি অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে আমরা 40-50 মিনিটের মধ্যেই পৌঁছালাম ঝালং। পাহাড়ি সৌন্দর্য্যে ঘেরা জায়গা, আর তার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা ঝালং নদী। অনির্বচনীয় সুন্দর জায়গা। 🙂
এরপর চললাম বিন্দু। বিন্দু বিখ্যাত এখানকার ড্যাম এর জন্য। এখানে বসে বিশ্রাম করার জন্য ছোট ছোট চেয়ার'ও রাখা আছে।

মন ভরে বিন্দু ড্যাম এর সৌন্দর্য উপভোগ করে এবার বাড়ি ফেরার পালা। 🙂
আমরা ওখান থেকে ফেরার পথে পথে একটা হোটেলে Lunch সেরে চললাম NJP RAILWAY STATION, সেখান থেকে ট্রেনে সোজা কলকাতা মানে বাড়ি 🙂👍
আমি কিছু ছবি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে আর তার সাথে আমি যে ভিডিও বানিয়ে ছিলাম আমার YouTube চ্যানেলের জন্য তার Link ও আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
দেখবেন দয়া করে। আর কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমি সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

Raj Sarkar

Saturday, March 7, 2020

জয়রামবাটি কামারপুকুর Joyrambati Kamarpukur

 এসেছি জয়রামবাটি, আজ অবশ্য কামারপুকুর মানে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান তাঁর বেড়ে ওঠার জায়গা দেখেছি, আছি জয়রামবাটিতে, হোটেল অনন্যাতে, কাল সারদামনির জন্মস্থান দেখবো, ফেরার পথে মশাটের কাছে রাবড়িগ্রাম হয়ে বাড়ি ফিরে যাবো।

মাঠ এখন হলুদ,সবুজ রঙের কোলাজ। ধান কাটা সারা হয়েছে,জমিতে আলু, হুগলি জেলার আত্মপরিচয়ের ফসল আলু। যদ্দুর চোখ যায় শুধু হলুদ আর সবুজের সমাহার।


বহুকালের ইচ্ছে আজ বাস্তব রূপ পাচ্ছে বলে ভালো লাগছে। দুটো ট্যুর বাতিল হয়েছে, মার্চ মাস থেকে কোভিড ও আম্ফান পরিস্থিতিতে জনবিজ্ঞান সংগঠনের লাগাতার কাজে এবং অফিসের জন্য ঘরের বাইরেই তো কাটলো কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার,ফুসরৎ কোথায় হলো। আজ বেরোলাম এতোদিন পরে, পায়ের তলার সর্ষেগুলোর একটু আরাম হলো।

                                                                 রামকৃষ্ণের বসতবাটি

একরাত দুদিনের ট্যুরে বেড়িয়েছি আজ সকালে, বাড়ি পাতিপুকুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে জয়রামবাটি, ৩ ঘন্টা সময় নিয়েছে আসতে। রাস্তায় প্রাতরাশ করে দুপুরের খাওয়া হোটেলে সেরে কামারপুকুর। কোভিডের জন্য এখানে এখন সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ১১ টা আবার বিকেল সাড়ে ৩ টে থেকে সাড়ে ৫ টা খোলা থাকে কামারপুকুর,জয়রামবাটির মন্দির।

                                                                লাহা বাড়ি , গদাধরের পাঠশালা
                                                                        গদাধরের পাঠশালা

গাড়ি থেকে নামতেই মহিলা গাইড সঙ্গী হলো, তিনিই বলতে বলতে আমাদের পথ দেখিয়ে স্থান মাহাত্ম বর্ণনা করতে করতে এগিয়ে চললেন।
                                                                            সাদা বোঁদে
শুরু হলো লাহা পাড়া দিয়ে, এখানেই গদাধরের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি থাকতেন কামারপুকুরের ২ মাইল পশ্চিমে ধদেড়েপুর গ্রামে, জমিদার বললেন মিথ্যে সাক্ষি দিতে হবে নাহলে গ্রাম ছাড়তে হবে, ক্ষুদিরাম গ্রামই ছেড়েছিলেন, তাঁর বাড়ি আর ১৫০ বিঘে জমি নিলাম করে দিয়েছিলেন জমিদার। এই অবস্থায় কামারপুকুরে ক্ষুদিরামকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বন্ধু সুখলাল গোস্বামী, জমিদার দুর্গাচরণ লাহার সাথেও হয়েছিল বন্ধুত্ব।
                                                                        কামাপুকুর
                                                                    লাহাদের মন্দির

গাইড দেখালেন লাহাদের বাড়ি, মন্দির, বালক গদাধরের পাঠশালা। গদাধরের পঠন পাঠনে তেমন আগ্রহ ছিল না, আর অঙ্কে তো নয়ই, তার ধ্যান জ্ঞান অপার্থিব জগৎ, ঈশ্বর নিয়ে, ছাড়লেন পাঠশালা তবে হাতের লেখা ছিল চমৎকার, দক্ষিণেশ্বরে তার হস্তাক্ষর রক্ষিত আছে।
গদাধরের যখন তখন বাহ্যজ্ঞান লুপ্তিতে, বিপদ আশঙ্কায় মাতা চন্দ্রমনি দেবী গোপেশ্বর শিবমন্দিরে হত্যে দিয়েছিলেন।
কামারেরা পুকুর খনন করেছিলেন বলে নাম কামারপুকুর, এর একদিকে আকাশচুম্বী অট্টালিকার নির্মাণ চলছে এখন।
দুর্গাদাস পাইনের বসতবাটি

দুর্গাদাস পাইন ছিলেন রক্ষণশীল, বাড়ির অন্দরমহলে মহিলাদের কাছে পুরুষদের প্রবেশ নিষেদ,গদাধর মেয়ে সেজে বাড়ির অন্দরমহলে গিয়ে মহিলামহলের সাথে আলাপ করে ফিরে যাওয়ার সময় দুর্গাদাস পাইনকে বলে যান, "এসেছিলাম মহিলামহলে। " দেখলাম সে বাড়ি।
                                                            দানি কামারনীর বাড়ি, মন্দির

গদাধর অভিনয় করেছিলেন শ্রীনাথ পাইনের বাড়ির নাট্টমঞ্চে, বাহ্যজ্ঞান লোপ পাওয়াতে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, দেখলাম সে বাড়ি আর নাট্টমঞ্চ।
দানি কামারণী গদাধরকে পরিচর্য্যা করেছিলেন, গদাধরের পৈতের সময় তাকে বলা হলো," তোমার ভিক্ষে মা কে হবেন? " গদাধর বলেছিলেন, দানি মার কথা, আপত্তি হলো, দাদা রামকুমার বললেন, " আমাদের বাহ্মণপরিবারে অন্য বর্ণের মানুষের থেকে ভিক্ষে মা হবার রীতি নেই, বেঁকে বসেছিলেন গদাধর, শেষে বাবা ক্ষুূদিরাম বলেন, " আমাদের পরিবারে এ রীতি নাও থাকতে পারে অন্য বাহ্মণ পরিবারে এ রীতি আছে, ফলে লোক নিন্দে হবেনা। " রইল গদাধরের কথা, ভিক্ষে মা হলেন দানি কামারণী। তাঁর বাড়ি ও মন্দির দেখলাম।
                                                               গোপেশ্বর শিব মন্দির

দেখলাম গদাধর বন্ধুদের নিয়ে যে পুকুরে স্নান করতেন, সেই হালদার পুকুর।
সবশেষে গদাধর - শ্রীরামকৃষ্ণের বসতবাটি, এটিতে নির্মিত হয়েছি মন্দির, পাশে মাটির বাড়ি, খড়ের চালাঘর এখনও আছে। ফুলের সমারোহ চারদিকে, খুব সুন্দর, মনোরম জায়গা, বেরিয়ে উল্টোদিকে রয়েছে অফিস, বুক স্টল, স্মারক স্টল। কিনলাম দুএকটা বই।
                                                                 শ্রীনাথ পাইনের বাড়ি ও নাট্যমঞ্চ

সবশেষে কিনলাম, কামারপুকুরের বিখ্যাত সাদা বোঁদে। ছানার গজা মোটে ৫ টাকা,পেল্লায় সাইজের ল্যাংচা মোটে ১০ টাকা। একধরণের মেয়া বা লড্ডুও বেশ খেতে, দাম ৫ টাকা।
খুব সুন্দর কাটলো বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে পর্যন্ত। বহুদিনের বাধা সরিয়ে আজ যে আসতে পারলাম, খুব ভালো লাগছিল।
আমরা টেম্পো ট্রাভেলরে এসেছি, ৩০ টাকা প্রতি কিলোমিটার বা ৩০০ টাকা প্রতি ঘন্টা দরে। যেটা বেশি সেটাই দিতে হবে, রাতে থাকার জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা।এরসাথে ড্রাইভারের থাকার ঘর এবং খাওয়া।
ভালোই ভীড় হয়েছিল, হয়েছিল লম্বা লাইন।
আমরা জয়রামবাটিতে হোটেল অনন্যাতে উঠেছি,নির্জনতায় মোড়া, ১ মাইলের মধ্যে কোনও দেকান নেই, মনে হয় ধান আর আলু ক্ষেতের মধ্যই বসে আছি আমরা।আমরা ১২ জন, ৪ টে ডবল রুম ৬০০ টাকা করে, আর একটা ৪ বেডের বিরাট ঘর, এসি সমেত ১২০০ টাকা, খাবার খরচও কম।
আজ সকালে পাতিপুকুর থেকে ডানলপ হয়ে ডানকুনি,ডানকুনি থেকে বাঁদিকে টি এন মুখার্জী রোড হয়ে অহল্যাবাঈ হোলকার রোডে পড়ে চন্ডীতলা,মশাট, শিয়াখোলা,ইলাহীপুর,দীপা,চাঁপাডাঙা,সাইদপুর,পানপেত,জয়রামপুর আরামবাগ,গোগাট, কালীপুর হয়ে কামারপুকুর হয়ে জয়রামবাটি পৌঁছেছি।
কাল জয়রামবাট, সারদামনির জন্মস্থান দেখে হোটেলে দুপুরের খাওয়া খেয়ে মশাটের অদূরে রাবড়ি গ্রামের রাবড়ি আর মশাটের বিখ্যাত দই খেয়ে বাড়ি ফিরে যাবো।

Sourav Chakrabarti