• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Monday, October 14, 2019

ওড়িশার কাশ্মীর দারিংবাড়ি এবং গোপালপুর - Daringbari and Gopalpur, Odisha

 ০৯/০৯/২০১৯:-

              আমরা ৮জন বন্ধু মিলে হাওড়া থেকে অমরাবতী এক্সপ্রেসে (হাওরা- গোয়া,ভাস্কো দা গামা) করে রাত এগারটা পঁয়তাল্লিশের ট্রেনে  রওনা দিই ওড়িশার ব্রম্ভপুরের উদ্দেশ্যে। 

                                                              Harabhangi Resorvoir
                                                                      Harabhangi Dam

 ১০/০৯/২০১৯

               পরদিন সকালে স্টেশনে নেমে ওখান থেকে অটো রিজার্ভ করে প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গেলাম প্রায় নির্জন ও নিরিবিলি #গোপালপুর_সীবিচ।  উঠেছিলাম হোটেল #অশোকা_ইন 'এ।  প্রায় সারাটাদিন আমরা সমুদ্রে দাপাদাপি করে কাটিয়ে দিলাম । (পরেরদিন সকালেও আবার গিয়েছিলাম সমুদ্রতটে)।

                                                                    Jeerang Monestry

 ১১/০৯/২০১৯

               পরের দিন সকাল ১১টা নাগাদ গোপালপুর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী দারিংবারির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি, #ডিয়ারস_ইকো_হোম থেকে পাঠানো বোলেরো গাড়িতে করে।

ওখানে পৌঁছে দিনটা আমরা বিশ্রাম করে কাটালাম, আগামীদিনের শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষ্যে।

                                                               Khasada Waterfalls

 ১২/০৯/২০১৯

প্রথম অর্ধ:-

              প্রকৃত ভ্রমন শুরু হয় এইদিন। গাড়ী নিয়ে ড্রাইভার দেবানন্দ সকাল ন'টায় আমাদেরকে কর্টেজ থেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে এঁকেবেঁকে আমাদের গাড়ী ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে। পাহাড়ের গায়ে ভাসমান মেঘরাজির মধ্যদিয়ে আমাদের গাড়ি চলতে থাকে। কোথাও কোথাও মেঘেরা চারিদিক অন্ধকার করে আমাদেরকে এমনভাবে ঘিরে ধরছিল যেন তাদের দেশে আমাদের অনধিকার প্রবেশে নিষেধ জানাচ্ছিল, একহাত দূরের রাস্তা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল না। যাইহোক, মেঘমালাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে আমরা এগিয়ে চলি। অবশেষে, এক বাঁধানো সিড়িওয়ালা রাস্তার সামনে এসে গাড়ী থেকে নেমে পড়ি। 

                                                            
 Hill View Point                                                               

তখন হাল্কা বৃষ্টি পড়ছিল। গাছের পাতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দকে ছাপিয়ে অন্য একটা মৃদু শব্দ  কানে আসছিল। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে সিড়ি দিয়ে যতই নীচের দিকে নামতে থাকি সেই শব্দের প্রাবল্য ততই বাড়তে থাকে। বেশ কিছুটা নেমে একটা বাঁক ঘুরতেই সেই গর্জনের উৎস #মিদুবান্দা_জলপ্রপাত অর্থাত্ (#Dashingbadi_waterfall) এর সামনে এসে দাঁড়ালাম। যা দাসিংবাড়ি জলপ্রপাত নামেও পরিচিত। অসম্ভব সুন্দর এক নৈসর্গিক দৃশ্য এই জলপ্রপাতের! 

                                                        Ram Mandir beside Khasada Waterfalls

   এরপর আবার চলা শুরু। কিছুক্ষণ পরেই রাস্তার মধ্যেই আমাদের গাড়ী দাঁড়িয়ে পড়ে। জায়গাটা ছিল #হিল_ভিউ_পয়েন্ট। অসম্ভব সুন্দর এই ভিউ পয়েন্ট। সামনে মেঘের সাদা মাফলার ও গাছপালার গাঢ় সবুজ জ্যাকেট পরিহিত বিস্তৃত পাহাড়ের সারি। অনেক নীচে আঁকা বাঁকা লাল রাস্তা!

                                                        Magnetic Vally(Silent Vally), Mandasaru

    দারিংবাড়ি-ব্রাম্ভনিগাম রোড ধরে দারিংবারি  চারিচৌক (চৌমাথা) এর দিকে এগিয়ে যেতে যেতেই রাস্তার ডানপাশে পেয়ে গেলাম পাহাড়ের ঝাউবাগান, #পাইনের_জঙ্গল। নির্জন নিস্তব্ধ পাইনের জঙ্গলের পাশেই পেয়ে গেলাম এক পাহাড়ী স্রোতস্বিনী ডুলুরি নদীকে। সত্যি, চিরসবুজ পাইনের ক্যানভাসে দুলুরি নদীর সৌন্দর্য্য  যেন হাজার গুণ বেড়ে গিয়েছে!

                                                                        Coffee Garden

 গাড়িতে করে পাইনের জঙ্গল ছেড়ে সামান্য এগিয়ে যেতেই এবার রাস্তার বামদিকে পেয়ে গেলাম #কফি_বাগান। কফি বাগানের মধ্যে রয়েছে সুউচ্চ সিলভার ওক গাছ। তার গা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে অনেকটা পানের মত দেখতে লতানে গোলমরিচ বেয়ে বেয়ে ওপরে উঠে ওক গাছের মতই যেন আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা করছে।

                                                           Shal Forest, Mandasaru

    পরবর্তী গন্তব্য ছিল, #লাভার্স_পয়েন্ট। অসমতল, উঁচু-নীচু পাথুরে ভূমিরূপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এক পাহাড়ি নদী, সৃষ্টি হয়েছে অনেকগুলি ছোট ছোট অনুচ্চ জলপ্রপাত। বর্ষাকাল বলে নদীতে জলের প্রবাহ বা পরিমাণও ছিল যথেষ্ট বেশী। আমি এখানে স্নান সেরে নিতে একটুও ভুল করলাম না।

       প্রথম অর্ধের শেষ গন্তব্য ছিল, #এমু_পার্ক (#এমু_বার্ডস_জু)। প্রায় ১০-১২টি এমু পাখী এখানে রাখা হয়েছে। তখন বাজে প্রায় বিকেল তিনটে। পেটে ছুঁচো অনেক্ষণ ধরে ডন দিচ্ছে। ওখান থেকে সোজা চলে এলাম হোটেল হিল টপ'এ মধ্যাহ্নভোজ সারতে । উদরপূর্তি সেরেই আবার বেরিয়ে পড়লাম হৃদয়পূর্তির জন্য।

                                                            Taptapani Shiva Temple

দ্বিতীয় অর্ধ:-

            প্রথমেই এলাম প্রকৃতি উদ্যানে। #প্রজাপতি_পার্ক, ভেষজ উদ্ভিদের উদ্যান, আদিবাসী পার্ক, বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইডস ইত্যাদিতে সাজানো এই প্রকৃতি উদ্যান। 

            এই উদ্যানের ঠিক পাশেই রয়েছে হিল ভিউ পার্ক।  ছোট্ট এই পার্কটি বেশ সুন্দর অার পরিপাটি করে সাজানো। নামেই বোঝা যায় এই পার্কের ভিউ পয়েন্ট থেকে পাহাড়ের ভিউ পাওয়া যায় যা বেশ মনোমুগ্ধকর।

                                                                         Sunset Point


            কাছাকাছি রয়েছে, #দারিংবারি_নেচারস্_ক্যাম্প। বেশ উঁচুতে পাহাড়ের ঢালে ওটিটিডিসি এর টকটকে লাল রঙের প্রায় ১০-১২টি  সুন্দর সুন্দর কটেজ। এখান থেকে পুরো দারিংবারিকে অপূর্ব সুন্দর দেখতে লাগে!

            ওখান থেকে বেরিয়ে পৌঁছে গেলাম দিনের শেষ গন্তব্য #সানসেট_পয়েন্ট। এখান থেকে পাহাড়ের কোলে সূর্য ঢলে পড়ার দৃশ্য নাকি অবর্ণনীয়। যদিও মেঘলা আকাশ সেই দৃশ্য অবলোকনের সৌভাগ্য থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করেছে। সন্ধ্যা নামতেই ফিরে এলাম হোটেলে। আবারও গান - গল্প - আড্ডার আরেক মনোরম সন্ধ্যা কাটালাম আমাদের কয়েকদিনের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল দারিংবাড়ির বিখ্যাত #ডিয়ারস্_ইকো_হোম নামক সুন্দর একটি কটেজে।

                                                   Midubanda Waterfalls (Dasingbari Waterfalls)

১৩/০৯/২০১৯

   এদিন সকাল দশটা নাগাদ হোটেল থেকে বেরোলাম। গন্তব্য #মন্দাসরু_ইকোপার্ক। দারিংবাড়ি থেকে সিমানবাড়ি হয়ে  প্রায় ৩০-৩২ কিলোমিটার ঠান্ডা অার ছায়াভরা চড়াই উতরাই রাস্তা পেরিয়ে (এর মধ্যে কিছুটা খারাপ রাস্তাও ছিল) আমরা পৌঁছে গেলাম মন্দাশুরু ইকোপার্ক। জায়গাটা অনেকটা কেরালার সাইলেন্ট ভ্যালির মতই। পার্কে ঢুকতে গেলে প্রথমে ১০ টাকার টিকিট কাটতে হয়। গেটের সামনেই বামদিকে রয়েছে শাল গাছের জঙ্গলের মধ্যে ছোট্ট একটি পার্ক, 

                                                        Daringbari Nature Park

রয়েছে একটা ছোট মন্দির । এখনকার মুখ্য আকর্ষণ হল #ম্যাগনেটিক_ভ্যালি।  যাইহোক, মন্দাসুরু ইকো ট্যুরিজম সেন্টার হল একটা প্রকৃতি উদ্যান। এখানে  পাহাড়ি পরিবেশকে  উপভোগ করতে একটা সারাটা দিনও যথেষ্ট নয়। এখানে থাকবার জন্য OTTDC এর খুব সুন্দর সুন্দর কাঠের বাংলো রয়েছে। 

                                                            Daringbari Natures Camp, OTTDC


লাঞ্চ এখানেই সেরেছি আমরা অার ঋদ্ধ হয়েছি বাংলোর কর্মচারীদের আতিথেয়তা ও আন্তরিকতায়। বিকেলের দিকে বালিগুড়া হয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম #ডোকরা গ্রামে। যেখানে ডোকরার জিনিসপত্র কিভাবে বানানো হয় তা দেখলাম, কয়েকটা জিনিসও কিনলাম। যদিও এই ডোকরা গ্রামে ভ্রমন আমার কাছে ততটা উপভোগ্য মনে হয়নি।

                                                                 Lovers Point


১৪/০৯/২০১৯

              ঠিক সকাল সাড়ে দশটায় আমরা হোটেল থেকে চেক আউট করি। দারিং বাড়ি থেকে দরিংবাড়ি - ব্রাম্ভনিগাঁও রোড ধরে এগিয়ে আড়াবা হয়ে পৌঁছে গেলাম #হরভাঙ্গী_জলাধার। নয়নাভিরাম এর সৌন্দর্য। চারদিকে সবুজ পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই জলাধার।

                                                                   Hill View Park


        ওখান থেকে মহানা হয়ে আমরা চলে এলাম #জীরাং_মনাস্ট্রি। মনে হবে যেন এক টুকরো তিব্বত! অবর্ণনীয় সৌন্দর্য্য এই মনাস্ট্রির! ইচ্ছে করে সারাটা দিন এখানে চুপচাপ বসে থাকতে।

                                                                    Zirang Monestry

                                                                    Emu Birds Zoo


        মনাষ্ট্রি থেকে আরো প্রায় চার কিলোমিটার এগিয়ে গিয়ে হাজির হলাম #খাসাড়া_জলপ্রপাত 'এর সামনে। বিশাল বড়ো না হলেও বেশ সুন্দর এই জলপ্রপাতটি। উল্টোদিকে পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে একটা রাম মন্দির।

                                                                      Gopalpur Beach

        ওখান থেকে চাঁদিপুট, লুহাঙ্গুরী হয়ে এসে গেলাম #তপ্তপানি। একে একে দেখে নিলাম তপ্তপানি শিবমন্দির, তপ্তপানি হট স্প্রিং। অন্ধকার নেমে গিয়েছে, তখন প্রায় সাতটা বাজে, বৃষ্টি শুরু হয়েছে ঝিমঝিমিয়ে । এখনও কিছুটা রাস্তা বাকি রয়েছে বেরহামপুর স্টেশনে পৌঁছাতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যশবন্তপুর- হাওরা এক্সপ্রেস ঠিক সময়ে চলছে। ৮-১৫ তে পৌঁছাবে ট্রেন। তাই তপ্তপানি ডিয়ার পার্ক লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে বেরহামপুর  স্টেশনের দিকে গাড়ী ছুটিয়ে দিলাম।

লেখক ও আলোকচিত্রকর :- ©চক্রধর কয়াল

Monday, October 7, 2019

শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা - Poushmela at Shantiniketan

 মেলা শব্দটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি হয়। মেলার আক্ষরিক অর্থ মিলন। মেলায় একে অন্যের সঙ্গে ভাব বিনিময় হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী। কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ’।

লাল মোরাম বিছানো রাস্তা, বিশ্বভারতীর প্রানকেন্দ্রে..
                                            লাল মোরাম বিছানো রাস্তা, বিশ্বভারতীর প্রানকেন্দ্রে..

তবে যে মেলার কথা না বললে বাংলার মেলা সম্পূর্ণতা পায় না, তা হল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। শুধুমাত্র বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত বলেই নয় বরং সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের বাইরে সমাজ সংস্কারক রবীন্দ্রনাথের যে পরিচয়, তা এখানে বিশেষভাবে অনুভূত হয়। জানা যায় ১২৫০ সালের ৭ পৌষ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। সেই দিনটিকে কেন্দ্র করে উৎসব ও মেলার ভাবনা ছিল দেবেন্দ্রনাথের। শান্তিনিকেতনের আশ্রম ডিডেই তার প্রমাণ মেলে। সেখানে ট্রাস্টিগণ ওই জমিতে মেলা বসানোর উদ্যোগ নেবেন বলে লেখা আছে।
ঘন্টাঘর
                                                                    ঘন্টাঘর

এক সময় এ মেলা ভুবনডাঙার মেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতীর অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে মেলারও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। ১৯৬১ সালে মেলা উঠে আসে পূর্বপল্লির মাঠে। এখন অবশ্য তাতেও স্থান সংকুলান হয় না, প্রকৃতপক্ষে পৌষ মেলা চলে গোটা শান্তিনিকেতন জুড়েই। ৭ পৌষ সকালে এখানে ব্রহ্মোপাসনার মাধ্যেমে মেলার সূচনা হয়। আশ্রমিকদের কথায় এটা পৌষ উৎসবের সপ্তমী। বক্তৃতা, স্মৃতিতর্পণ যেমন চলে, তেমনই চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আসেন বিভিন্ন রাজ্য ও বাংলাদেশের শিল্পীরা। থাকে বাউল-ফকিরদের গান।
বৈতালিকী
                                                                বৈতালিকী

রীতি মেনে বৈতালিককের গান, সানাইয়ের সুর, ছাতিমতলায় উপাসনা এসব তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে স্বর্গত আশ্রমিকদের জন্য শ্রদ্ধাশীল স্মরন।
মহর্ষি ভবনে ব্রাম্ম্মূহূর্তে সাঁনাই বাদন
                                                        মহর্ষি ভবনে ব্রাম্ম্মূহূর্তে সাঁনাই বাদন

ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য নিদর্শন এই মেলাটি অন্য অনেক মেলা থেকে এক সম্ভ্রমসূচক দূরত্বে দাড়িয়ে আছে।।
মেলা থেকে সময় করে ঘুরে আসুন আধঘণ্টা দূরে আজকে হেজে যাওয়া মজে যাওয়া কবির প্রানের নদী "কোপাই" । সেই কোপাই, রবীন্দ্রনাথের ভাষায় যার ‘প্রাচীন গোত্রের গরিমা নেই তার৷’ তবে দু’পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক নিবিড়৷ রবীন্দ্রনাথের বর্ণনায় ‘রাস্তা যেখানে থেমেছে তীরে এসে /সেখানে ও পথিককে দেয় পথ ছেড়ে৷’
কালোঘর
                                                        কালোঘর

দু’ধারের চাষবাস , প্রকৃতিতেও কোপাই -নির্ভরতা দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ৷ ‘শণের খেতে ফুল ধরেছে একেবারে তার গায়ে গায়ে/জেগে উঠেছে কচি কচি ধানের চারা / ...... অদূরে তালগাছ উঠেছে মাঠের মধ্যে ,/তীরে আম জাম আমলকির ঘেঁষাঘেঁষি৷’
তাহলে আর কি ভাবছেন ? পড়ুন ই না বেরিয়ে..!!
আর হ্যাঁ ! "কাসাহারা"তে খেতে ভুলবেন না !!
(পুনশ্চঃ - ছবিগুলো তোলা হয়েছিল দুবছর আগে পৌষমেলায়। এবছর অতিমারীর কারনে এই পৌষমেলা বাতিল করতে হয়েছে। এর আগেও প্রানের মেলা-পৌষমেলা বাতিল হয়েছে দু-দুবার )


Subir Saha

Saturday, October 5, 2019

North Sikkim Tour

বান্ধবীর বিয়ের আগে ব্যাচেলর্স ট্রিপ এর জন্য নির্থ সিকিম ছাড়া আর কিছু মাথায় আসে নি।আমরা ৩ বান্ধবী চোখ বন্ধ করে ভরসা করি সিকিম এর ওপর।

লাচুং এর পথে
                                                                    লাচুং এর পথে
নামক
                                                                        নামক
গুরুদোনমার পথে
                                                                গুরুদোনমার পথে



                                                                    
গুরুদোনমা




আমি আবার তিন-চার দিন টানা বরফ দেখার চাইতে সবুজ দেখাকে বেশি প্রেফার করি।এটা অক্টোবর।ফলত নানান সেড এর সবুজ,নীল আকাশ,ভোরে আর সন্ধ্যায় বরফ ঢাকা পাহাড়ের সোনালী আলো সব মিলে আমাদের ব্যাচেলর্স ট্রিপ খুব রঙিন ছিল।

                                                                    সেভেন স্টেপ

গ্যাংটক
                                                                        গ্যাংটক


নামক তিস্তা ভিউ পয়েন্ট
                                                                    নামক তিস্তা ভিউ পয়েন্ট

প্রথম দিন গাংটক পৌঁছলাম।
পরের দিন লাচেন।
তারপর লাচুং।
শেষ দিন গ্যাংটক।
আমি শেয়ার এ যাবো বলেই ঠিক করেছিলাম কিন্তু কপাল গুনে শেষ এ শেয়ার এর টাকাতেই আমরা একটা Xylo পাই যেটায় করে আমরা ৩ দিন শুয়ে বসে ঘুরি।



Saniya Dhar