• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Sunday, January 27, 2019

মৌসুনী দ্বীপ ভ্রমণ - Trip to Mousuni Island

ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে মৌসুনী দ্বীপ আজ একটি জনপ্ৰিয় নাম । কোরোনার প্রকোপ, লকডাউন, আমফান, কোটাল এর ঢেউ সব কিছু বাঁচিয়ে আবার ছন্দে ফিরছে মৌসুনী।
◆ কলকাতা থেকে মাত্র 117km দূরে । পৌঁছে যেতে পারেন নিজের গাড়ি বা বাইকে।
◆ শুরু হয়েছে ট্রেন পরিষেবাও। শিয়ালদা থেকে সকল 7:15 এর নামখানা লোকাল ধরে পারি দিতে পারেন মৌসুনীর উদ্দেশ্যে।

◆ প্রকৃতির কোলে 2টো নির্বিগ্নে শান্তিতে শান্ত পরিবেশে কাটিয়ে ওঠার কথা গেথে যাবে আপনার মনের স্মৃতিতে।  

সুসজ্জিত তাঁবু।

সুসজ্জিত তাঁবু

ঘুরে এলাম ২০শে ডিসেম্বরে মৌসুনী দ্বীপ থেকে সকাল ৭.৩০ শিয়ালদা থেকে নামখানা লোকাল ধরে সকাল ১০টার কাছা কাছি পৌঁছা লাম নামখানাতে ওখান থেকে ভট ভটি করে পৌঁছালাম হুজুতির ঘাট ,খেয়া পার হয়ে আবার টোটো করে পৌঁছালাম মৌসুনি ওয়েভেষ।

সুসজ্জিত তাঁবু

করোনার জেরে জর্জরিত জীবন থেকে সাময়িক একটু মুক্তি।ঝাউবনের মধ্যে সুসজ্জিত টেন্ট , সামনেই সমুদ্র ২ রাত্রি কাটাবার জন্য উপযুক্ত ঠিকানা।আমাদের গন্তব্য ছিল মৌসুনি ওয়েভেষ।

আরাম কেদারা
                                                                আরাম কেদারা

সকালে পৌঁছাতে না পৌঁছাতে মিলল ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস হিসাবে ডাবের জল, দুপুরে ভর পেট খাবার ডাল, ভাত,ডিম ভুজিয়া, ফুলকপি আলুর তরকারি, ভেটকি মাছ ভাজা, মাছের কালিয়া চাটনি পাঁপড়।বিকালে গরম গরম চা মুড়ি, পাকোড়া। তারপর শুরু হলো বন ফায়ার গরম গরম চিকেন তন্দুরি। ওটা যদিও এক্সট্রা খরচ ১ কেজি চিকেন ৩৫০ টাকা।

ঝাউবন

                                ঝাউবন

রাতে জুটল চিকেন ,রুটি, স্যালাড, মিষ্টি, আলুভাজা। এই ভাবেই দুদিন ভালোই কাটলো।পরদিন উঠে গরম গরম লুচি,ঘুগনি,ডিম সেদ্ধ,রসগোল্লা।সমুদ্র উপভোগ করে সারাদিন পরদিন ফেরার পালা।


গঙ্গাবক্ষে কিছুক্ষন বোটিং করা পারলে ওখান থেকে জম্বু দীপ যাবেন।খুব কাছে গঙ্গাসাগর কিন্তু আমাদের ভাগ্যে না থাকায় যাওয়া হয়ে ওঠে নি।মৌসুনি থেকে সকাল ১১.২০ তে একটা লঞ্চ ছাড়ে গঙ্গাসাগর যায়।ওখান থেকে ভেসেল পার হয়ে গঙ্গাসাগর।


যারা একটু রোজকার জীবন থেকে মুক্তি চান নিরিবিলিতে থাকতে চান তাদের জন্য আইডিয়াল ট্যুর মৌসুনি। জনপ্রতি খরচ ১১০০ টাকা, আমাদের ২ জনের ২২০০ টাকা টেন্ট এ থাকা খাওয়া। বাচ্চার লাগে নি।


এছাড়া শিয়ালদা থেকে ২৫ টাকা নামখানা।ওখান থেকে ভটভটি ৩০০ টাকা, খেয়া ১০টাকা।আবার টোটো করে দ্বীপ যেতে ৩৫ টাকা জনপ্রতি।


Sunanda Das Chakladar

Sunday, January 13, 2019

সিকিম ভ্রমণ - East Sikkim Tour

 কোনরকম বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছাড়া প্রথমবার East Sikkim ভ্রমণ 

কয়েকদিন আগে পারমাদান নিয়ে আমার লেখা আপনাদের অনেক ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছে ওটা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ আরও একবার লেখার সাহস দেখালাম।
বিয়ের আগে কখনো সেভাবে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আর বিয়ের পর বেড়াতে যাওয়া বলতে তখন ও দীঘা তাও বাসে । একে শীতকাল তার উপর কিছু ছুটি হাতে থাকায় ইচ্ছা হল বেড়াতে যাব আমি হঠাৎ করে ও কে ধরে বসলাম সিকিম বেড়াতে যাব। ও, পড়ল মহাফ্যাসাদে, ওর ও যে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা নেই এমন নয় বরং উল্টোটাই, ইচ্ছা আছে ষোলোআনা কিন্তু ঠিক নিজের উপর ভরসা করতে পারছিল না তাই প্রথম দিকটায় আমতা আমতা করছিল তার একটি কারণ, ওর এর আগে তেমন বেড়াতে যাওয়ার কোনো রকম অভিজ্ঞতা নেই আর আমার তো নেইই। তখন দুটি পথ খোলা এক ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা বা অন্যদের সাথে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা আর দুই সাহস করে নিজেরাই বেরিয়ে পরা।ভয় পেয়ে পিছনে হাঁটাটা ঠিক ধাতে সয় না আর তার উপর আছে নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তো আমরা দ্বিতীয় পথটাই অনুসরণ করলাম।
তিস্তা নদীর এ অপরুপ শোভা
তিস্তা নদীর এ অপরুপ শোভা 
কিন্তু কিভাবে যাওয়া হবে একদিকে ছুটি ফুরিয়ে যাচ্ছে আর অন্যদিকে ট্রেনের টিকিট একটি দিন করে যাওয়ার সাথে সাথে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। তখন সাত পাঁচ না ভেবে 'ও' হঠাৎ করে নিজেই মোবাইল এ IRCTC থেকে টিকিট কেটে নিল কামরূপ এক্সপ্রেসের । ফেরার টিকিট কাটার সময় আর একটি মজার ব্যাপার হল সেখানেও আমি জেদ ধরে বসলাম দার্জিলিং মেলই ফিরব ছোটো থেকে অনেকবার এই নামটি শুনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল মনে, একবার অন্তত বেড়াতে যাওয়া বা আসার সময় উঠব । যেমন কথা তেমন কাজ টিকিট পেলাম কিন্তু RAC এখানে বলে রাখি আমাদের এমন ই অবস্থা তার আগে জানা ছিল না RAC কী যাইহোক এখানে ও সেই Google বাবার দারস্থ হতে হল। সত্যি বলতে এর আগে নিজের রাজ্যের বাইরে তো দূরে থাক কলকাতার বাইরে কখনো আমরা দীঘা ছাড়া কোথাও যাইনি দুজনের কেউ।
বাবা মন্দির যাওয়ার পথে
বাবা মন্দির যাওয়ার পথে
যাওয়া তো হবে কিন্তু tour plan সেটা কী ভাবে সাজানো হবে অন্যেরা সাধারণত আগে সেটা করে পরে টিকিট কাটে আমাদের ক্ষেত্রে হল উল্টো টা। এখানে একটা কথা বলব চেনা জানা যারা এর আগে বেড়াতে গিয়েছে তাদের সাথে আমারা কথা বলে বুঝলাম পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে অনেক মানুষ এর শারীরিক সমস্যা হয় উচ্চতার জন্য ফলে আমরা তখন নির্দিষ্ট ট্যুর প্ল্যান করে যাইনি তার বদলে ওই জায়গা সম্পর্কে যতটা জানা যায় জেনে নিলাম যাতে ওখানে গিয়ে নিজেদের শারীরিক অবস্থা বুঝে ট্যুর প্ল্যানcustomize করতে পারি অনেকটা ঠিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো। যেটা পরবর্তীকালে আমাদের অনেক কাজে আসে।
গ্যাংটক যাওয়ার পথে । পাশে তিস্তা নদী
গ্যাংটক যাওয়ার পথে । পাশে তিস্তা নদী 
যত যাওয়ার দিন এগিয়ে আসতে লাগল তত আনন্দ উত্তেজনা মনকে আরও জাঁকিয়ে ধরল মিথ্যে বলব না সাথে কিছুটা হলেও বুক দুরুদুরু করছিল সেটাকে বেশি পাত্তা না দিয়ে মত্ত হলাম বেশ কিছু শীতের পোশাক কেনাকাটাই প্রথমবার বুঝতে পারলাম বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ, কিসের টানে মানুষ বারবার ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ে।
Do-drul Chorten (stupa)
Do-drul Chorten (stupa)

দেখতে দেখতে এসে গেল নির্দিষ্ট দিন, আমরা ট্রেন টাইমের ঘন্টা খানেক আগেই পৌঁছে গেলাম হাওড়া স্টেশনে, ও বলল হাতে যখন টাইম আছে স্টেশন টা একটু ঘুরে দেখা যাক। তার আগে আমরা ঠিক করেছিলাম আমাদের সিকিম ভ্রমণটা vlog হিসেবে শ্যুট করবো দেখতে গেলে এটাই ছিল আমাদের ভ্লগের হাতে খড়ি,ওর উপর দায়িত্ব পড়ল vlog শুট করার, আগেই বলে রাখি আমি দুএকটা বেশী কথাই বলতে পারেনি কারন তখনও camera friendly ছিলাম না।

আগে জানতাম এ এই কাপড় গুলিতে আনেক কিছু লেখা থাকে

আগে জানতাম এ এই কাপড় গুলিতে আনেক কিছু লেখা থাকে

যাইহোক ট্রেনে প্রথমবার রাত্রি যাপন এর অভিজ্ঞতা, চেষ্টা করলাম ঘুমানোর কিন্তু ঘুম বাবাজীর দেখা মিলল না কখন সকাল হবে সেই প্রহর গুনেই রাত কেটে গেল। পরদিন সকালে NJP তে নেমে 'ও' ঠিক করে নিল শেয়ার ট্র্যাক্সি, গাড়ির সামনের সিট দুটো আমাদের দখলে থাকায় রাস্তার দুধারের ও সামনের দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে অর্ধেকের বেশি রাস্তা পেরিয়ে এলাম বুঝতেই পারলাম না রাস্তা থেকেই দূরের পাহাড় গুলো দেখতে পেয়ে মন ভরে গেল। আমাদের প্রথম দিনের ড্রাইভার দাদাটাও বেশ ভালো মাঝে মাঝে ওনার সাথে টুকটাক কথা হতে থাকল ওনাদের লোকাল সংস্কৃতি নিয়ে, কথাটা প্রথম উঠল আমাদের গাড়িতে চলতে থাকা নেপালী গান নিয়ে, বেশ ভাব জমে গেল 'ও'র সাথে ওনার, কথা বলে হোটেল ও স্থানীয় জিনিস গুলি সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য পাওয়া গেল। এভাবেই পৌঁছে গেলাম আমাদের গন্তব্যস্থল গ্যাংটক। গিয়েই MG Marg এর উপর একটি হোটেলে রুম দেখে 'ও' বুক করে নিল মোটের উপর ছিমছাম ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। মন বাইরে বেরোতে চাইলেও তখন আর শরীর পারছিল না তার আগের দুই রাত্রি না ঘুমানোর ফল। যাইহোক স্নান সেরে দুজনে বেরিয়ে দুপুরের খাবার টা খেয়ে ফিরে এলাম রুমে, এসে একটা জাঁকিয়ে ঘুম দিলাম সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে মুছে সাফ। বিকাল থেকে MG Marg এ সময় কাটল, সন্ধ্যা বেলা MG Marg এ আলোর সাজে সেজে উঠছে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বুঝলাম ওখানকারLosoong festival ( Sikkimess new year of the Bhutia tribe) প্রস্তুতি চলছে। এর মাঝে travel agent এর সাথে কথা বলে নিল 'ও' দ্বিতীয় দিন sight scene এ যাওয়া নিয়ে।
সোনালী কাঞ্চনজঙ্ঘা ।
সোনালী কাঞ্চনজঙ্ঘা 

পরদিন ভোরে উঠে আমাদের রুমের জানলা দিয়ে দেখলাম কাঞ্চনজঙ্ঘা, কি অপরূপ দেখতে লাগছে সকালের সূর্যের আলো পরার সাথে সাথে আরো সুন্দর লাগছে তাকে সে দৃশ্য সত্যি এ জীবনে ভোলার নয়। ওখানে MG Marg এ আমাদের সাথে হঠাৎ পরিচয় একটি নেপালী কাপল এর সাথে ওদের সাথে শেয়ার গাড়ি করে sight scene করে নিলাম। এখানে বলে রাখি আমরা কোনরকম একটি travel agent এর থেকে ফুল প্যাকেজ কিছু নেয়নি নিজেদের মতো করে ২-৩ জন এর সাথে কথা বলে তবেই ঠিক করি। তৃতীয় দিনে ঠিক ছিল east Sikkim অর্থাৎ ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দির, নাথুলা ঘুরব কিন্তু কপাল খারাপ sight scene করে ফিরে এসে বৃষ্টি পড়ছে, travel agent এর কাছে গিয়ে পারমিশন হয়েছে কিনা জানতে চাওয়ায় উনি বললেন কাল সকালে আসুন ছাঙ্গু তে আজ হঠাৎ বরফ পড়ায় নুতন করে আর পারমিশন হচ্ছে না ।
লাল বাজার বা মার্কেট এর ছাদ থেকে view
                                                    লাল বাজার বা মার্কেট এর ছাদ থেকে view

তৃতীয় দিন সকালে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হল উনি বললেন “আগামীকালও হবে কিনা তাও বলতে পারব না আমার অনেক গাড়ি উপরে আটকে সারারাত, তারা এখনও ফিরতে পারেনি” উনি টাকা ও ফেরত দিয়ে দিলেন। আমরা শুধু ওনার উপর ভরসা না করে sikkim tourism এর অফিস এমনকি ড্রাইভার দাদা দের সাথে কথা বললাম সবাই এক্ই কথাই বললেন। তখন আমরা ওই দিনটা নষ্ট না করে কাছেপিঠে হাঁটা দূরত্বে জায়গা গুলি দেখে নিলাম। ভাগ্যিস হাতে ১টা দিন সময় নিয়ে গিয়েছিলাম নিজেদের মত ঘুরবো বলে সেটা কাজে এসে গেল তাই আমাদের হাতে আর ও ১ টি দিন ছিল। এর মধ্যে 'ও' বারবার নিজে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসল অবশেষে সন্ধ্যাবেলা অন্য একজন travel agent এর থেকে পজিটিভ খবর পাওয়া গেল আমাদের পারমিশন এর জন্য যাবতীয় ডকুমেন্ট ও টাকা দিয়ে আসা হল যদিও তখনও কনফার্ম নয় পরদিন সকালে রেডি হয়ে যেতে বললেন ।
লাসুং ফেস্টিভাল
                                                                            লাসুং ফেস্টিভাল
চতুর্থ দিন ভোর থেকে ও উঠে কাঞ্চনজঙ্ঘা র অপূর্ব দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করল তারপর রেডি হয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। না সেদিন আর ভাগ্য অপ্রসন্ন হল না, পারমিশন হয়েছে যাওয়া হবে কিন্তু নাথুলার রাস্তা তখন ও বরফ না সরায় ওটাতে কাউকে পারমিশন দেয়নি, যাওয়া হচ্ছে বাকি দুটি জায়গা সেটাতেই আমরা খুশি। যাওয়ার পথে গাড়ির পারমিট এর জন্য বেশ খানিকটা সময় নষ্ট হল। পাহাড়ি রাস্তা ধরে গাড়ি উপরে উঠতে থাকল আমাদের মতো আর ও অসংখ্য গাড়ি সারি বেঁধে উপরে উঠছে দেখতে কিন্তু ঠিক পিঁপড়ের সারি বেঁধে আসার মতো। যত উপরে উঠতে লাগলাম রাস্তার দুপাশে গাছের উপর তখন ও বরফ দেখতে পেলাম। প্রথমে গেলাম বাবা মন্দির তারপর বরফ জমা হাঙ্গু ও ছাঙ্গু লেক দেখতে দেখতে সারাদিনটাই কেটে গেল ফেরার পথে অস্তমিত সূর্যের আলোকে পাহাড় কে দেখতে আর ও অপূর্ব লাগছিল সে এক অন্য অনুভূতি। ফিরে এলাম গ্যাংটক এ সন্ধ্যার সময়, ফিরেই ওই ঠান্ডাতেও গরম জলে স্নান করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবার পেট চুঁইচুঁই করতে লাগল খিদেতে, 'ও' গিয়ে ২ প্লেট মোমো প্যাক করে আনল খেয়েই বেরিয়ে পড়লাম MG Marg এ পরদিন ফিরব তাই যতটা সম্ভব ঘুরে নেওয়া যায় আরকি টুকটাক কেনাকাটা করে রাতের খাবার খেয়ে ফিরলাম।ফিরে এসে মোটামুটি প্যাকিং করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বাবা হরভজন সিং এর bedroom
বাবা হরভজন সিং এর bedroom

পরদিন সকালে MG Marg এর ওখান থেকেই প্রাতরাশ খেয়ে স্নান সেরে গ্যাংটক কে 'টা টা' করে ট্যাক্সি করে চলে এলাম তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে।আমাদের ট্রেন ছিল রাত আটটার দার্জিলিং মেল। এখানে এসে জানতে পারলাম ট্যাক্সি খুবই কম সেদিন, নীচের ট্যাক্সি আসবে তারপর যাবে। তখন 'ও' সময় নষ্ট না করে বাসের টিকিট কেটে নিল বাস আবার শিলিগুড়ি পর্যন্ত অগত্যা কি আর করা। ফেরার পথে অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হলাম। সেদিন এত জ্যাম রাস্তায় ৫ ঘন্টার রাস্তা ৭ ঘন্টা লেগে গেল তাও পৌঁছাতে পারছি না আমিতো প্রথমে প্যানিক করে যাই কিন্তু ও’র মাথা ঠান্ডা ও তখন ভাবতে লাগল এই ট্রেন মিস হলে ওখানে গিয়ে যাওয়ার উপায় কী! কিন্তু ওই যে বলে না কপাল, বাসের যিনি ড্রাইভার দাদা ছিলেন উনি বুদ্ধি করে অন্য রাস্তা বেঙ্গল সাফারির পাশের রাস্তা দিয়ে বাস নিয়ে গিয়ে সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা মাঠের মধ্যে দিয়ে কিছু কিছু জায়গা জল জমে আছে ওখান থেকে নিয়ে গিয়ে মোটামুটি ট্রেন টাইম এর ৪০ মিনিট আগে এসে নামিয়ে দিল শিলিগুড়ি SNT বাসস্ট্যান্ডে ওখান থেকে অটো করে Njp এককথায় প্রায় ছুটোছুটি করে ট্রেন ছাড়ার ৫ মিনিট আগে ট্রেনে এসে উঠলাম। ট্রেন ছাড়ার সময় দেখলাম বেশ অনেক সিট ফাঁকা। যে ট্রেনে RAC ছিল সেই ট্রেনে দেখলাম সবাই হাত পা ছড়িয়ে চলে এল। পরে জানতে পারলাম জ্যামে আটকে বহু মানুষ সেদিন ট্রেন মিস করেন । ভগবান কে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের প্রথম ভ্রমণ অভিজ্ঞতাটা সুন্দর করার জন্য না কোনরকম শারীরিক সমস্যা হয়নি বেশ ভালোভাবে ঘুরে বাড়ি ফিরলাম। তবে এই ট্যুর আমাদেরকে অনেক কিছু শেখাল।

Pinki Paul