লোঁলেগাও থেকে অনতিদূরে ৫৫০০ ফিট উচ্চতায় কালিম্পং সাব-ডিভিশনের ছোট্ট পাহাড়ি হ্যামলেট চারখোল। ঘন সবুজে ঘেরা এই পাহাড়ী জনপদের বাঁকে-বাঁকে নিঃস্তব্ধ সৌন্দর্যের মূর্ত প্রতীক হয়ে রয়েছে যেন প্রকৃতি। পাইন, ওক, শাল, সাইপ্রাস, রডোডেনড্রনে মোড়া নেওয়াভ্যালি ন্যাশানাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত চারখোল বিভিন্ন প্রকার হিমালয়ান পাখির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র। যেদিকেই চোখ যাবে শুধু সবুজ আর তারই মাঝে নানারকম পাখির সুরেলা শিষ আপনার ছুটি কাটানোর আমেজকে করে তুলবে স্বর্গীয়।


প্রকৃতির এই নিঃস্তব্ধ, নিশ্চিন্ত আস্তানায় পায়ে হাঁটা পাহাড়ী পথে দেখা পেয়ে যাবেন ব্লু ফ্রন্টেড রেডস্ট্রাট, গ্রীণ ব্যাকড্ টিট, ভার্ডিটার ফ্লাইক্যাচার, হিমালয়ান বুলবুল প্রভৃতি পাখির। এছাড়া কয়েকশ প্রজাতির প্রজাপতি এই অঞ্চল কে এক অনন্য রূপদান করেছে। ফলে একদিকে যেমন পাখিপ্রেমি অন্যদিকে যারা কাছেপিঠে অফবিট লোকেশনের খোঁজ করেন তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চারখোল। চারখোল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা র ভিউও অসাধারণ, এমনকি আকাশ পরিস্কার থাকলে এখান থেকে মাউন্ট এভারেস্টের কিছু অংশ ও দেখা যায়। গুটি কয়েক পরিবারের বাস এই চারখোলে, মূলতঃ চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের সহজ সরল জীবনযাত্রা এবং উষ্ম আতিথিয়তা আপনার ভালো লাগবেই।
মূলতঃ পায়ে হেঁটেই ঘুরতে হবে, নিঃস্তব্ধ প্রকৃতিকে উপলব্ধি করাই মূল এখানে। এছাড়া নেওড়াভ্যালি ফরেস্টের নানা রকম পাখি দেখতে দেখতেও সময় কেটে যায়।











