আমরা যারা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি তাদের কাছে এই ঘরবন্দী দশা সত্যি হতাশার।ফেব্রুয়ারি মাসে বেশ কিছুটা অবস্থা অনুকূলে আসলেও আছড়ে পড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউ,তারপর কখনও ইয়াশ তো কখনো টর্নেডো,ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর ধাক্কায় জর্জরিত আমরা।এই সব দেখে শুনে আজ সত্যি স্মৃতি রোমন্থনই ভরসা।
সেদিন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত গয়নার বাক্স সিনেমাটা দেখতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম বাওয়ালি রাজবাড়িকে নতুন রূপে, চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি সংস্কারের আগের এই বাড়িটিকে।বাড়িটি অজয় রাওলা মহাশয় সংস্কার করে হেরিটেজ রিসোর্ট বানান।অপর্ণা সেন হয়ত তার আগে শুটিং করেছিলেন সারা বাড়ি জুড়ে সেটা বোঝাই গেলো।
সিনেমাটি দেখতে দেখতে এই কঠিন পরিস্থিতিতে আরও একবার ভেসে উঠলো ঘুরে আসা এই বাড়ির প্রতিটি কোণার নানান দৃশ্য। জমিদারি প্রথা শেষ হয়ে গেলেও কোথাও কোথাও তার ছাপ থেকে যায় সুস্পষ্ট।আর ভাগ্যিস আছে তাই অতীতকে আমরা বর্তমানে দাঁড়িয়েও দেখতে পাই।ছোটবেলা থেকেই এই বাড়িগুলোর প্রতি আমার ভালোলাগা ছিল একটু বেশিমাত্রায়।এই ভালো লাগাকে পাথেয় করে গেছি এমন অনেক বাড়ি আর তাদের মধ্যে অন্যতম এই বাওয়ালি রাজবাড়ি। যা ছিল কালকের মন্ডল ম্যানসন তা আজকের বজবজ নিকটবর্তী বাওয়ালি রাজবাড়ি।
রাজবাড়ি বললেও আসলে এটি জমিদার বাড়ি।প্রাচীন বাড়িগুলোতেও কিভাবে রন্ধ্রে রন্ধ্রে আধুনিকতাকে প্রবেশ করানো যায় তাও জমিদারি আভিজাত্যকে বজায় রেখে সেটা ওখানে না থাকলে হয়তো বোঝা সম্ভব হতো না।ঘর ও বাড়ির অনত্র সব জায়গাতেই আলোর ব্যাবহারের ক্ষেত্রেও প্রাচীনত্বের ছোঁয়া।পুকুরে খেলে বেড়ায় রাজহাঁসের দল।কোথাও প্রাকৃতিক ভাবে পুকুর তো কোথাও কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি করা সুইমিং পুল,স্পা।একই রাজবাড়ি চত্বরে কি সুন্দর ভাবে অধিষ্ঠান করছে পুরাতন ও নতুন পাশাপাশি।মনোরঞ্জনের জন্য পাবেন বিলিয়ার্ড,কেরাম,লাইভ মিউজিক।।সাথে দুপুরের জমিদার থালি,যা সত্যিই পরিবেশন করা হয় রাজকীয়ভাবেই।
বাড়িটি মানস ভ্রমণে ঘরে বসেই দিন ও রাতে কেমন দেখায় তা দেখতে ও যে কথা বলা হয়ে উঠলো না তা জানতে দেখতে পারেন নিচের ভিডিওটি,যেখানে বুকিং ডিটেলস ও খরচ সংক্রান্ত সব তথ্যই পাবেন আপনারা।
Ananya Bhattacharya











