• Estuary of Teesta and Rangit Rivers

  • Teesta View Point

  • Chatakpur, Darjeeling

  • Chilapata Forest

Tuesday, November 26, 2019

মায়াপুর নবদ্বীপ - Mayapur Nabadwip

  আমরা তিন বন্ধু মিলে ঘুরে এলাম অন্যতম বিখ্যাত একটি স্থান মায়াপুর, শ্রী চৈতন্যের শহর নবদ্বীপ এর প্রতিবেশী শহর এবং সেখান থেকে বেরিয়ে ঘুরে এলাম চুপি কাষ্ঠশালী পাখিরালয়, পূর্বস্থলী। আজ একই দিনে এই দুটি জায়গা ঘুরে এলাম। অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। এত ভালো কাটলো দিনটা, বলে বোঝানোর নয়।


তো সকাল সকাল উঠে একদম ফ্রেশ হয়ে, কফির কাপে চুমুক দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আমরা তিন বন্ধু মিলে, হাওড়া কাটোয়া লোকাল ধরে নেমে পড়লাম সোজা বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে। সেখানে নেমে একটা 'Mandatory Selfie' তুলে রওনা দিলাম খেয়াঘাটে যাওয়ার জন্য। বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনের সামনেই টোটোর ঝাঁক। সেখান থেকে একটা টোটো করে পৌঁছে যাওয়া যাবে খেয়াঘাটে। ভাড়া নেবে মাত্র ১০ টাকা মাথা পিছু। খেয়াঘাটে পৌঁছে আগে গরম চা এর কাপে চুমুক দিলাম আর তারপর সেরে নিলাম টিফিন পর্ব। পাশেই কচুরি মিষ্টির দোকান। খেয়ে দেয়ে লঞ্চের টিকিট করে আমরা সোজা উঠে পড়লাম লঞ্চে। লঞ্চের ভাড়া মাথা পিছু ৭ টাকা। রওনা দিলাম মায়াপুর এর উদ্দেশ্যে। লঞ্চে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম। গঙ্গার ঘোলা মাটি জল থেকে রওনা হয়ে, লঞ্চটি পড়লো জলঙ্গির একদম সবুজ জলে। যেখানে দুটো জল মেশে না। দুটোকে আলাদা ভাবে দেখা যায়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। যা ব্যক্ত করা যায় না ভাষায়। তো ৫-৬ মিনিট পর পৌঁছলাম মায়াপুর এর ঘাটে। সেখানে লঞ্চ থেকে নেমেই, খেয়াঘাট থেকে বেরোতেই পেয়ে গেলাম সামনেই বাস, মনে হলো অপেক্ষা করছে যেনো আমাদেরই জন্য। (ওখানেই মায়াপুর বাসস্ট্যান্ড) সেখান থেকে বাসে করে পৌঁছে গেলাম ইসকন মন্দিরে। ১০ মিনিটের বাস পথ। ভাড়া নেবে বাসে মাথা পিছু ৭ টাকা।


সেখানে গিয়েই আগে টোকেন করে নিলাম একটা ৫০ টাকার মহাপ্রসাদ থালির। সেই থালি তে থাকবে সাদা ভাত, ডাল, ফুলকপির রোস্ট, চানা পনির, বেগনি, পায়েস। যা দেওয়া শুরু হবে দুপুর ১২:৩০ থেকে। তখন বাজে ৯:৩০ টা সকাল। তো আমাদের হাতে অনেকটা সময়। আমরা ভেতরের সবটা ঘুরে এলাম। দর্শন করলাম সব কিছুর। তাও দেখালাম হাতে তখনও ২ ঘণ্টা বাকি।


খোঁজ পেলাম একটা অপূর্ব সুন্দর জায়গার ইসকন মন্দির থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে, "বল্লার ঢিপি"। সময় নষ্ট না করে চলে গেলাম সেখানে। একটা টোটো করলাম। মাথা পিছু ১০ টাকা করে নিল। সেখানে গিয়ে আগে ফটোশুট টা সেরে নিলাম আমরা। সেখান থেকে বেরিয়ে আবার একটা টোটো করে ফিরে এলাম ইসকন মন্দিরে। সময় হয়ে এসেছে মহাভোগের। চলে গেলাম হেঁটে গীতা ভবনে, ইসকনের ভেতরেই। সেখানে কয়েকশো লোক একসাথে বসে। কুপন জমা দিয়ে, আমরাও যোগ দিয়ে দিলাম এবং ভোগ আসার অপেক্ষা করলাম। সেখান থেকে খেয়ে বেরিয়ে সোজা চলে এলাম ইসকনের গেটের বাইরে এবং ফিরে এলাম বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশনে। মায়াপুর ভ্রমন শেষ করলাম।

বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট থেকে কাটোয়া গামি একটি ট্রেন ধরলাম দুপুর ২:৩০ টের সময় এবং নামলাম দুটো স্টেশন পড়ে পূর্বস্থলী স্টেশনে। সেখান থেকে টোটো করে চলে গেলাম "চুপি কাষ্ঠশালী পাখিরালয়ে"। টোটো তে মাথা পিছু ভাড়া পড়বে ২০ টাকা করে। সেখানে গিয়ে রিসোর্টে কিছুটা সময় কাটিয়ে, সেখানে নৌকা ভ্রমণ করে (১৫০ টাকা নেবে, ১ ঘণ্টা ভ্রমণ করাবে), কিছু সুন্দর মুহূর্ত এবং সুন্দর জায়গা ক্যামেরাবন্দি করে রওনা হলাম আবার পুর্বস্থলী স্টেশনের দিকে। সেখান থেকে সন্ধের কাটোয়া হাওড়া গামী ট্রেন ধরে পৌঁছে গেলাম আমরা বাড়ি।


এক কথায় অনবদ্য কাটলো আজকের দিনটা। ছুটি টা খুব enjoy করলাম আজকের। আবারো কোনো একদিন ফিরে যাবো এখানে।


Rakesh Dutta

মৌসুনী দ্বীপ - Mousuni Island

 আমি আর আমার স্ত্রী অক্টোবর এর 14th এ একদিনের জন্য মৌসুনী দ্বীপ থেকে ঘুরে এসেছিলাম.থাকার জন্য বুক করেছিলাম স্যান্ড ক্যাসল বিচ ক্যাম্প এ mudhouse. এখানে বলে রাখি এই ক্যাম্পের কর্ণধার অভিষেক দার ব্যবহার খুব ভালো লেগেছে

                                                                   মৌসুনী বিচ


ক্যাম্পে থাকাকালীন উনি সব সময় ফোন করে খবর নিতেন আর যাওয়ার আগেও সব বিষয়ে হেল্প করেছেন . 14th অক্টোবর এস্প্লানেড থেকে wbtc এর বকখালি volvo বাস ধরে চলে গেলাম সাতমাইল বাজার.সেখানে নেমে টোটো করে হুজ্জুতের ঘাট

                                                                        ম্যানগ্রোভ

সেখান থেকে ভটভটি তে চিনাই নদী পার করলাম,মৌসুনী তে নেমে টোটো বুক করে পৌছালাম ক্যাম্পে.বিচ এর ধার ধরে হেটে চলে গেলাম ক্যাম্পে.ক্যাম্পে ঢুকেই মন টা খুশি হয়ে গেলো কারণ এত সুন্দর করে সাজানো জায়গা টা. Mudhouse বুক করেছিলাম আর তাতে টয়লেট সংযুক্ত.রুম টা খুব ই ভালো ছিল.

                                                                Mud House


একটু পরেই বেরিয়ে লাঞ্চ করলাম.ভাত ,dal,চিংড়ি ,মাছের মালাইকারি,চাটনি ,পাঁপড় ,মিষ্টি সমেত.খাবার খুব ভালো লেগেছে আমার.ক্যাম্প এর সকল কর্মচারী ই খুব ভালো আর ফ্রেন্ডলি.বিচের ওদিকে একটু এগিয়ে আবার ফিরে এলাম কারণ খুব কড়া রোদ ছিল.কিন্তু বিচ টা দেখে খুব ভালো লাগলো কারণ এরম পরিষ্কার আর নিরিবিলি বিচ দেখা যায়না.

রুমে ঢুকে একটা জব্বরদস্ত ঘুম দিলাম.সূর্যাস্তের আগেই গিয়ে দাঁড়ালাম বিচে.খুব সুন্দর সূর্যাস্তের সাক্ষী হলাম দুজনেই.কিছু ছবি তুলে চলে এলাম এর পর ক্যাম্পে.অভিষেক দা কে আগেই চিকেন বার্বিকিউ র কথা বলে রেখেছিলাম.তার সাথে যোগ করলাম কাঁকড়ার অনুরোধ.সত্যি বলছি ওতো সুন্দর কাঁকড়া কারি কম খেয়েছি.চিকেন berbecue tao দারুন ছিল.

 খেয়ে ক্যাম্পের সামনেই বসে রাতের নিস্তব্দ সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম.অসাধারণ অভিজ্ঞতা.রাতে ভাত ,মাংস দিয়ে দুর্দান্ত ডিনার সারলাম. পরদিন সকালে উঠে বিচে গিয়ে অনেক ছবি তুললাম.এরপর লুচি ,তরকারি ,ডিম সিদ্ধ দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে ক্যাম্পের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে.সাথে রইলো অসাধারণ একটি দিনের অভিজ্ঞতা আর এক রাশ সুখ স্মৃতি.ফিরলাম ও WBTC র বাসে করে.বাস গুলো সত্যি খুব আরামদায়ক. এক দিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন মৌসুনী থেকে.নেহাত মন্দ লাগবে না.

স্যান্ড ক্যাস্টল বিচ ক্যাম্প -9330246505.
Mudhouse ভাড়া -1500/- প্রতি রাত (লাঞ্চ ,ডিনার ,পরের দিনের ব্রেকফাস্ট included).
Wbtc বাস ভাড়া -255/- জনপ্রতি
সাতমাইল বাজার থেকে হুজ্জুতের ঘাট - 25/- জনপ্রতি
ভটভটি ভাড়া - 2/- জনপ্রতি
মৌসুনী ঘাট থেকে টোটো ভাড়া - 30/- জনপ্রতি
চিকেন বার্বিকিউ আর কাঁকড়ার জন্য আলাদা করে অনুরোধ করতে হবে.

Amlan Mukherjee

Monday, November 11, 2019

তাবাকশি দার্জিলিং - Tabakoshi Darjeeling

 মন থেকে চাইলে সত্যি হয়তো যেটা চাইছি সেটা পাওয়া যায়, আমরা শুধু পাহাড় ভালোবাসি এইটা না পাহাড় ও আমাদের ভালোবাসে, এই বছর ই may মাসে পাহাড় এর কোলে ছোট্ট একটা গ্রাম এ গিয়ে দুটো দিন থাকার কথা ছিল আমাদের কিন্তু পান্ডেমিক এর জন্য সেই যাওয়া ক্যানসেল হয়ে যায়, ভারতীয় রেল টিকিট এর পুরো টাকা রিফান্ড করে দিলেও হোটেল বা হোমস্টে গুলো তে তখন আমরা যাবো না বা আপনারা কি পরে গেলে টাকা এডজাস্ট করে দেবেন এই সব কথা বলার মানসিকতা আমাদের কেন কারোর ই ছিল না...

আর সেই বিষয় নিয়েই আজকের লেখার বিষয়, "তাবাকশি "সবাই এই নাম টার সাথে কম বেশি পরিচিত তাই বেশি বিবরণ আর দিলাম না, অনেক দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা কে দেখতে না পেরে মন টা খুবই খারাপ ছিল... জানি আমার মতো আপনাদের ও একি অবস্থা হয়তো, তাই কিছুটা সাহস করেই এই মাসের 18 তারিখ দার্জিলিং মেলে উঠে পড়লাম এইবারের ঘোরা টা একে বারেই আলাদা ছিল মানে কোথায় যাবো ঠিক নেই কোনো হোটেল বুক করা নেই গাড়ি ঠিক করা নেই,অবশেষে ট্রেন থেকে নেমে ঠিক হোলো বিজনবাড়ি যাওয়া হোক সেই মতো তাই ই করলাম একটা দিন ওখানে থেকে পর দিন দার্জিলিং চলে আসলাম কিন্তু মন সেই তাবাকশি তাবাকশি করছিলো তাই দার্জিলিং এ দুটো দিন থেকে ফোন করলাম তাবাকশির শুনাখারি হোমস্টে তে....
.
শুনাখারি হোমস্টে
                                                                শুনাখারি হোমস্টে
ফোন করা মাত্র ওনারা বললো আপনারা চলে আসুন আমরা ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো, সত্যি ই তাই আমরা দার্জিলিং থেকে সকালে 11নাগাদ তাবাকশির উদ্দেশ্যে রওনা দি, ওখানে পৌঁছাতে প্রায় 1.30 বেজে যায়, সত্যি ওনাদের ব্যাবহার ভোলার না,




অতো অল্প সময় এর নোটিস এর মধ্যে ই আমাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে রেখেছিলো আর হোমস্টে তে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ওনারা এমন আচরণ করতে লাগলো যে আমরা যেন কতো পরিচিত ওনাদের তাড়াতাড়ি চা করে দিলো যেমন আমরা বাড়িতে গেস্ট আসলে করি 😀যাই হোক may মাস থেকে এই ডিসেম্বর পর্যন্ত যতটা মনে দুঃখ ছিল সব একনিমেষে উধাও হয়ে গেলো,


আর সবশেষে একটা কথা না বললেই না যেই টাকা আমরা এডভান্স দিয়েছিলাম ওনারা পুরোটাই আমাদের এডজাস্ট করে দিয়েছিলো, আমরা কিন্তু একবারো বলি নি যে আপনারা টাকা এডজাস্ট করে দিন তাও ওনারা এতটাই ভালো যে সত্যি কিছু বলার নেই.... জায়গায়র সম্পর্কে আর কি বলবো অনেকেই হয় তো গেছেন তাই কিছু ছবি দিলাম.....

Poulami Mukherjee